আজ কল্পতরু হয়েছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। প্রতি বছরই এই উপলক্ষে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। কিন্তু এই বছর করোনা আবহে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ উদ্যানবাটি প্রাঙ্গণে। তবে অনেক ভক্তরাই উদ্যানবাটির মূল ফটকের সামনে দিয়ে ঘুরে গিয়েছেন। নিজেদের মনস্কামনা জানিয়ে গিয়েছেন ঠাকুরের কাছে।
গত বছরও ভক্তশূন্য ছিল। এই বছরও এই একই নিয়ম বহাল থাকল। করোনা আবহে ভক্তদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে এবারে আর কাশীপুর উদ্যানবাটির সামনে সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। প্রবেশ দ্বার বন্ধ থাকলেও উদ্যানবাটির ভিতরে সব রীতিনীতি মেনেই পুজো হয়েছে। মঠের সন্ন্যাসীরা সব অনুষ্ঠানই শ্রদ্ধা সহকারে পালন করেছেন। এবারে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে না পারলেও তাঁদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক ভক্তরাই রয়েছেন, যাঁরা নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গিয়েছেন উদ্যানবাটিতে। মূল ফটকের বাইরে থেকে ঠাকুরের উদ্দেশ্যে প্রণাম করে চলে গিয়েছেন তাঁরা।
আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কাশীপুর উদ্যানবাটি বন্ধ থাকার কথা। প্রতি বছর এই কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে শুধু কাশীপুর উদ্যানবাটিই নয়, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠে ভক্তদের প্রবেশাধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে আগাম খবর না থাকায় অনেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে চলে আসেন। তাঁদের অনেককেই ফেরত যেতে হয়।
অন্যদিকে বেলুড় মঠের দরজাও আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি গৃহী ভক্তদের উদ্দেশ্য কল্পতরু হয়েছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। তিনি ভক্তদের জানিয়েছিলেন, ‘আশির্বাদ করি, তোমাদের সকলের চৈতন্য হোক।’ সেই বছর থেকে এই দিনটিতেই কল্পতরু উৎসব পালিত হয়ে আসছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন শাখায়।
ন শাখায়।