রামমন্দির মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অযোধ্যার সেই বিরাট কর্মযজ্ঞের কথা। সেই রামমন্দির কবে উদ্বোধন হবে তা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা দেশ। তবে শুধু অযোধ্য়াতেই নয়, এই বাংলাতেও তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। তবে সেটা অস্থায়ী। আসলে এবার দুর্গাপুজোয় রামমন্দিরের আদলে তৈরি হবে মণ্ডপ।
একটি হবে খোদ কলকাতায়। এবার কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতে তৈরি হচ্ছে রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ। এই পুজোটি সজল ঘোষের পুজো বলেই পরিচিত। সেই লড়াকু বিজেপি কাউন্সিলর এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা। তাঁর পুজোতে এবার রামমন্দির। সেই পুজোর উদ্বোধনে আসতে পারেন খোদ অমিত শাহ। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মাধ্যমে সেই পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিত শাহকে।
তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নিজের শহর। সেখানকার নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের পুজোতেও রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ করা হচ্ছে। এই পুজোতে সুকান্ত মজুমদারের অবদান যথেষ্ট। সেই পুজোতেও আমন্ত্রিত অমিত শাহ। এমনকী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও আসতে পারেন পুজোতে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করে বরাবরই জনসংযোগে নামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিগতদিনে সল্টলেকে দুর্গাপুজোরও আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১এর নির্বাচনের আগে তাতে যেমন একটা হইহই ব্যাপার ছিল, পরবর্তী সময়ে তাতে সুর কাটে। এরপরই সেই পুজো আপাতত আর হচ্ছে না বলে খবর।
তবে নিজেদের এলাকায় দুর্গাপুজোর আয়োজনের সঙ্গে জড়িয়ে থেকে দলের ভিত্তিতে আরও মজবুত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার একেবারে রামমন্দিরকে তুলে আনছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এখানেই শেষ নয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই পুজোর উদ্বোধনে এনে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তবে পুজোর বাজারে বাংলার সেই রামমন্দির কতটা গেরুয়া আবেগে শান দিতে পারবে সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। কারণ সামনেই ২০২৪এর বড় লড়াই।