রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। রাজ্য সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে। এই আবহে এই গণহত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি হবে একসঙ্গে। আজ দুপুর ২টোয় শুরু হবে শুনানি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গছন করেছেন। সেই দলই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বগটুইতে অশান্তির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েে ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে। বাকি ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
এদিকে এই ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাড়া করলেও খোদ পুলিশের ডিজি তা মানতে নারাজ। কার্যত তদন্ত শুরুর আগেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিচালক মনোজ মালব্য মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘এটা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল। এর জেরেই ভাদু শেখকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জড়িত ছিল না।’ এদিকে এর আগে তো অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন যে শর্ট সার্কিট থেকে টিভিতে আগুন লেগেই নাকি কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে। তবে ঘটনাস্থলে সিট-এর তদন্তকারীরা গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোমবার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায়। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই গ্রামের পরিস্থিতি। এরপরই সোমবার রাতে সেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার শুনানি এবার আদালতে।