প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল যে বগটুইকাণ্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন নয়। পরে অবশ্য ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্বও খাড়া করেও তৃণমূল। এই আবহে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বগটুই নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সদস্যরা। সেই বৈঠকে তৃণমূলের নেতৃত্বে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৈঠক প্রসঙ্গে সুদীপবাবু দাবি করেন যে অমিত শাহও নাকি মেনে নিয়েছেন যে বগটুইকাণ্ডে কোনও রাজনীতি নেই। তবে সুদীপবাবুর এহেন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর স্পষ্ট দাবি, সুদীপবাবু ‘অসত্য’ দাবি করছেন।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবুর বক্তব্য, ‘তদন্তের আগে এহেন মন্তব্য করার ব্যক্তি নন অমিত শাহ।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরর নেতৃত্বে সংসদ ভবনে অমিত শাহের দফতরে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্র, শতাব্দী রায় ও মৌসম বেনজির নুর। বগটুইকাণ্ড নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিয়ে অমিত শাহকে নালিশ করেন তৃণমূল সাংসদরা।
এরপর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন, ‘এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যে যে পদক্ষেপ করেছে, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। তাঁকে জানিয়েছি যে ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সিট সিট গঠন করা হয়েছে। আমরা জানিয়েছি, এই ঘটনা ওখানকার পারিবারিক গ্রাম্য বিবাদের কারণে ঘটেছে। রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা ঘটেনি। এর প্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তবে ঘটনা অত্যন্ত নৃশংস।’ এদিকে সুদীপের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তদন্তের আগে এহেন মন্তব্য করার ব্যক্তি নন অমিত তিনি। মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে এই প্রসঙ্গে।’