নিউটাউনে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে এক নাবালিকা। নির্জন এলাকায় ঝোপঝাড় ভরা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার দেহ। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই এক টোটোচালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে নিউটাউন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।
কীভাবে অভিযুক্ত টোটো চালকের সন্ধান পেল পুলিশ?
সূত্রের খবর, আসলে ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা শুরু করে। সেই ফুটেজ দেখেই পুলিশ একটি টোটোকে চিহ্নিত করে। সেই টোটোতে ওই কিশোরী ছিল। অভিযোগ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল ওই টোটোচালক। এরপর অত্যন্ত নির্জন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এবার প্রশ্ন ওই টোটো চালক কি একলাই ছিল নাকি আরও কেউ ছিল?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই টোটোতে একলাই ছিল ওই টোটো চালক। তবে অপরাধ করার সময় ওই টোটো চালক একলা ছিল নাকি আরও কেউ ছিল সেটা দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই এই ঘটনার পেছনে আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সংবাদ মাধ্য়মে মুখ খুলেছেন নিহত কিশোরীর মা বাবা।
তার মা জানিয়েছেন, আমি চাই এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের যেন ফাঁসি হয়। কঠোর শাস্তি চাই ওদের।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে নানা পথ ঘুরে নিউটাউনের ওই জায়গায় কিশোরীকে নিয়ে আসে ওই টোটোচালক। এই জায়গাটি তার চেনা ছিল। আসলে ওই যুবকের বাড়ি নদিয়ায়। কিন্তু সে নিউটাউনের ওই এলাকায় টোটো চালাত। চার বিরুদ্ধেই ভয়াবহ অভিযোগ।
ওই কিশোরীর বাবা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরায় ওই যুবককে একলাই দেখা গিয়েছে। তবে পরে তার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত হয়েছিল কি না সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ওই যুবকের ফাঁসি চাই আমরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে প্রথমে দেখা যায় মেয়েটি হেঁটে যাচ্ছে। তারপর সেটা ট্র্যাক করে দেখা যায় টোটোতে রয়েছে মেয়েটি।
শুক্রবার নিউটাউনের লোহা ব্রিজের কাছে ১৪ বছরের ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জগৎপুরে দেখা গিয়েছিল ওই নাবালিকাকে। লোহা ব্রিজ থেকে জগৎপুর ৭ কিমি। মাঝের এলাকায় কোথায় ছিল কিশোরী? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।