নিউ টাউনে নাবালিকা খুনে টোটোচালক সৌমিত্র রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার স্বামীর কীর্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। কী ভাবে স্বামী নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণ করেছেন তা সংবাদমাধ্যমের সামনে বর্ণনা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, এর আগেও জেলবন্দি ছিলেন সৌমিত্র। তাকে মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান স্ত্রী।
অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, ‘আমার সামনে ও গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। ও বলেছে জগৎপুর ৭ নম্বর থেকে ও মেয়েটাকে টোটোতে তোলে। তার পর ৩ ঘণ্টা বিভিন্ন রাস্তায় ও মেয়েটাকে ঘোরায়। শেষে লোহাপুলের কাছে গিয়ে মেয়েটাকে টোটোর ব্রেকের স্প্রিং গলায় পেঁচিয়ে খুন করে। এর পর মেয়েটার ঘাড় ভেঙে দেয়। তার পর মেয়েটাকে নিয়ে যেখানে দেহ ফেলেছে সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে খালপাড়ের নেট কেটে একটা জায়গা বানায়। সেখান থেকে মেয়েটার দেহ নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তার পর বস্তায় ভরে দেহ ফেলে রেখে চলে আসে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাকে বলেছিল ওকে মারুন। কিন্তু আমি মারিনি। কিন্তু যেদিন ওকে মারব সেদিন সমস্ত মহিলাদের হাতে ওকে তুলে দিতে হবে। সেদিন ওর রক্ষা নেই। ও এর আগেও ৮ মাস ১৫ দিন জেল খেটেছিল। বিয়ের আগে সেকথা আমাকে জানায়নি। ওর মতো মানুষের ছাড়া পাওয়া উচিত নয়। তাহলে আবার কোনও মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটাবে।’
ওদিকে অভিযুক্তকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ১৪ বছরের নাবালিকাকে টোটোয় তোলে সৌমিত্র। কী করে ধর্ষণ করা যায় টোটো নিয়ে নিউ টাউনের রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই সেই পরিকল্পনা করছিল সে। অবশেষে কোনও জায়গা না পেয়ে লোহাপুলের কাছে কিশোরীকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর নাম করে নির্জন জায়গায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোরী বলে, আমাকে আগে বাড়ি পৌঁছে দিন। কিশোরীকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না দেখে গাড়িতে থাকা ব্রেক কেবল বার করে সৌমিত্র। সেই ব্রেক কেবল দিয়েই কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে সে।
জানা গিয়েছে, রানাঘাটের বাসিন্দা সৌমিত্র এর আগে স্থানীয় এক নাবালিকাকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই আত্মঘাতী হয় নাবালিকা।