দ্রুত করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করার অন্যতম কার্যকর উপায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই প্রথমবার সেই টেস্ট হল কলকাতার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে। উপসর্গহীনদের থেকে কোনও চিকিৎসকের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করেছে কিনা তা জানতেই এই উদ্যোগ। কলকাতার আইএমএ দফরতে এমন ৪২ জন চিকিৎসকের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় সোমবার। আর তাঁদেরই মধ্যে একজনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব।
আইএমএ–র সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ ডাঃ শান্তুনু সেন জানিয়েছেন, নাক বা মুখের থেকে লালারস সংগ্রহ করে এই অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। আমাদের আইএমএ অফিসের ৪২ জনের দেহে এই পরীক্ষা করা হয়। আর তার মধ্যে মাত্র একজনের দেহে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা আগে থেকে অনেক কমেছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অতিমারীর শুরুতে করোনা ভাইরাস যতটা শক্তিশালী ছিল, এখন তা আর নেই। চারিদিকে বেশিরভাগ রোগীরই কোনও উপসর্গ নেই। আর একজন করোনা রোগীর থেকে একজনের দেহেই সংক্রমণ ঘটছে। এর থেকে বেশি নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিউটেশনের জেরে ভাইরাসের গতি ঠিকই বাড়ছে কিন্তু ভাইরাস আরও দুর্বলও হয়ে পড়ছে। সংক্রমণের ক্ষমতাও কমেছে।