ফের আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে চুরি গেল বন্যপ্রাণ। এবার গায়েব হল তিনটি বিরল ধনেশ পাখি। যার পর চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার সঙ্গে পাচারচক্রের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশাল আকৃতির তিনটি পাখি নিয়ে পাচারকারীরা কী ভাবে চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে গেল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া পাখিগুলির নাম কিল বিলড টিউকান। তারা আকারে বেশ বড়। গত বছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসার পর সেগুলিকে উদ্ধার করে বনদফতর। এর পর তাদের ঠিকানা হয় জলহস্তির আবাসের সামনে পাখির খাঁচায়। বৃহস্পতিবার সকালে চিড়িয়াখানার কর্মীরা খাবার দিতে গিয়ে দেখেন সেখানে নেই পাখিগুলি। তার পর দেখা যায় খাঁচার নেট কাটা।
চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল রাত ১২টা থেকে ১২.৩০ মিনিটের মধ্যে চুরি হয়েছে পাখিগুলি। পাখিগুলির বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ওই পাখির খাঁচা থেকে ২৫ মিটার দূরে দায়িত্বে ছিলেন একজন নিরাপত্তারক্ষী তিনি কেন কিছু দেখতে বা শুনতে পেলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাস্থলের কোনও সিসিটিভি ফুটেজও নেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। ওয়াটগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে।
১২ বছর আগে ২০০৯ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে চুরি গিয়েছিল ৮টি মার্মোসেট বাঁদর। রাতে নেট কেটে ব্রাজিলের জঙ্গলের খুদে বাঁদরগুলিকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল পাচারকারীরা। পরে যদিও গোয়েন্দারা সেগুলিকে উদ্ধার করেন।