বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া খরচ মানতে হবে। এই কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য কমিশন। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসায় প্যাথলজি ও রেডিওলজি পরীক্ষার ক্ষেত্রে থরচ বেঁধে দেওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়।
গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য কমিশন। স্বাস্থ্য কমিশনের মত অনুযায়ী, পাঁচটি রেডিওলজি ও ১৫টি প্যাথলজি পরীক্ষার খরচ বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। রেডিওলজিকাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে বুকের এক্স রে, ইউএসজি, সিটি পালমোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফির মতো টেস্টের খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্যাথলজিকাল টেস্টের ক্ষেত্রে আইএল–৬, ডি ডাইমার, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড পরীক্ষার ক্ষেত্রে খরচের তালিকাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া এই নির্দেশিকায় আপত্তি জানিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনকে চিঠি দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কমিশন সব কিছুতে নির্দেশিকা করছে তা মানা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মূলত ২ থেকে ৩টি বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তাদের এটা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। কমিশন যে তার সিদ্ধান্তে অনড় সেই কথা বুঝিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, বেসরকারি হাসপাতালের তরফে বলা হচ্ছে, তাঁদের কর্মীদের মাইনে দিতে হয়। কিন্তু ৩ হাজার টাকার টেস্ট সাড়ে ৩ হাজার টাকা করিয়ে দিয়ে ৫০০ টাকার জন্য হাসপাতালের বিশেষ কোনও উপকার হওয়ার কথা নয়। হাসপাতালের দেখা উচিত যাতে মানুষ সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা করাতে পারেন।