দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু হওয়ার সময় থেকেই নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরেছিলেন রেশন ডিলাররা। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতের দরজায়ও কড়া নেড়েছিল। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। কিন্তু রেশন গ্রাহকদের ওটিপি এবং আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় রেশন দিতে পারছেন না রেশন ডিলাররা বলে অভিযোগ। এমনকী এই সমস্যার জেরে নভেম্বর মাসে ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন রেশন সামগ্রী বিতরণ করা যায়নি বলে অভিযোগ করলেন জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু।
এছাড়া নানা অসুবিধা এবং সমস্যা নিয়ে রেশন ডিলাররা নবান্নে চিঠি পাঠাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে। আর আজ, শুক্রবার এই প্রকল্প নিয়ে বিশ্বম্ভরবাবু একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন প্রকল্প কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের বিরোধী। রেশন পদ্ধতিতে মোট পাঁচটি ক্যাটেগরির রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের নিজস্ব মোবাইল ফোন নেই। অন্য কারও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে, তারা ফর্ম পূরণ করেছিলেন। সুতরাং রেশন বিতরণের সময় তাঁদের ওটিপি আসছে না। আঙ্গুলের ছাপ দিলে ছাপ বায়োমেট্রিক মেশিনে মিলছে না।’
এদিনও দুয়ারে রেশন প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এই নিয়ে কলকাতা শহরের দুটি জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করবে রেশন ডিলাররা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর এই মিছিল হবে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু মানুষ রেশন পেয়েছেন বাড়ির দোরগোড়ায়। তবে বহু মানুষের অভিযোগ, রেশন ডিলাররা এই প্রকল্পে শুধু চাল দিচ্ছে। আর কিছু দিচ্ছেন না। অথচ এই প্রকল্পে আরও কয়েকটি জিনিস দেওয়ার কথা। তাহলে কী রেশন ডিলাররা রেশন সামগ্রী সরিয়ে ফেলছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বহু রেশন গ্রাহক আছেন যাঁরা প্রতি মাসে রেশন তোলেন না। সেই না নেওয়া রেশন কোথায় যায়? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দেননি বিশ্বম্ভর বসু।