সম্প্রতি খাদ্য দফতর অনলাইনে রেশন ডিলারের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। মূলত এখনও কতজন ডিলার সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন? তা জানতেই এই কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর। কেউ ডিলারশিপ ছেড়ে দিয়েছেন কিনা বা কোনও মৃত্যু হয়েছে কিনা বা ডিলারশিপ সাসপেন্ড হয়েছে কিনা এই সমস্ত বিষয়ে জানতে তথ্য সংগ্রহ করছে খাদ্য দফতর। এর প্রধান কারণ হল যে সমস্ত এলাকায় ডিলারের শূন্যপদ তৈরি হয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় মানুষদের রেশন বণ্টনের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে সেখানে অস্থায়ীভাবে লাইসেন্স দিয়ে রেশন সরবরাহ করতে চায় রাজ্য। কিন্তু, খাদ্য দফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন ডিলাররা।
এ নিয়ে খাদ্য দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকেকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে ডিলারদের সংগঠন অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। খাদ্য দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও জায়গায় ডিলারের শূন্যপদ থাকলে সে ক্ষেত্রে কোন স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা সরকারি কোনও সংস্থাকে লাইসেন্স দিয়ে অস্থায়ীভাবে কাজ চালানো হবে। প্রাথমিকভাবে ছয় মাস পর্যন্ত তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। তবে খাদ্য দফতর চাইলে অনির্দিষ্টকালের জন্যও তাদের লাইসেন্স দিতে পারে।
অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস' ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর অভিযোগ, ‘খাদ্য দফতরের কিছু আধিকারিক পুরো রেশন ব্যবস্থাকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন। রেশন ডিলারদের বিব্রত করে সাধারণ মানুষকে রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করতে চাইছেন তাঁরা। গত অক্টোবর মাস থেকে এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিক ভাবে চলছে। মনে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে বিপদে ফেলতেই আধিকারিকরা এই সব করছেন। যদিও খাদ্য দফতর রেশন ডিলারদের যাবতীয় তথ্য অনেক আগে থেকে সংগ্রহ করা হয়। তাকে আরও সুরক্ষিত রাখার জন্য অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডিলারদের ক্ষতির কিছু নেই। বলে জানিয়েছেন খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক।