সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার মানুষ বিপুল জনাদেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপরই রেশন দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাজিরা এড়ালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই রাজ্যে ইডি–সিবিআই–এনআইএ এবং আয়কর দফতরের দাপট দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জনাদেশ পেয়ে যাওয়ায় এখন অনেকটা থমকে আছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ৫ জুন অভিনেত্রীকে ইডি অফিসে নোটিশ দিয়ে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দিলেন না ঋতুপর্ণা।
তবে আজ, বুধবার অভিনেত্রীর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইনজীবী পাঠিয়ে তা ইডিকে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলে সূত্রের খবর। সেখানেই ইডির কাছে বাড়তি সময়ও চেয়েছেন এই জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী। এই বাড়তি সময় চাওয়ার মধ্যে কোনও অন্যায় বা অপরাধ দেখছেন না ইডি অফিসাররা। ইডি সূত্রে খবর, আগামীকাল ৬ জুনের পর যে কোনওদিন অভিনেত্রী ইডি অফিসে আসতে পারবেন বলে আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। সেক্ষেত্রে পরবর্তী তারিখ কবে পড়ে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন ফাঁকাই থাকল চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ, কেউ এলেন না কেন?
অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় নাম জড়িয়ে পড়েছিল টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। ২০১৯ সালে রোজভ্যালি মামলায় তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তখন ইডির তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। এবারও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় আজই সাড়া দিতে পারছেন না। সুতরাং রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রোজভ্যালির যোগ এবং সেই সংস্থার টাকার নয়ছয়ে অভিনেত্রীর নাম জড়ানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা এখন রয়েছেন মায়ামিতে। গত ৩০ মে ইডির নোটিশ সম্পর্কে ঋতুপর্ণা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে সব শুনেছেন। রেশন দুর্নীতি কী এবং কীসের নোটিশ কিছুই তিনি জানেন না। অভিনেত্রী বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কোনও চিঠি আসেনি। তাঁর অফিসেও কোনও চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে আইনি পরামর্শ তিনি নেবেন। সেখানে ইডির দফতরে আইনজীবী পাঠানো মানে তিনি নোটিশ পেয়েছেন। আর সাড়া দিতেও রাজি আছেন। শুধু হাজিরার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছেন।