বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Ration Scam: নামে - বেনামে ডিলারশিপ নিয়ে রেশনের চাল বাজারে বিক্রি করেছেন ডিসট্রিবিউটাররা: ED

Ration Scam: নামে - বেনামে ডিলারশিপ নিয়ে রেশনের চাল বাজারে বিক্রি করেছেন ডিসট্রিবিউটাররা: ED

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 

প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বেশ কয়েকজন রেশন ডিসট্রিবিউটারের নামে বেনামে রেশন ডিলারশিপ রয়েছে। সেই ডিলারশিপের মাধ্যমেই রেশনের সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে।

রেশন দুর্নীতি আড়াল করতে অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল বেশ কয়েকজন রেশন ডিস্ট্রিবিউটর। অভিযোগ, রেশনের চাল খোলা বাজারে পাচার করতে রীতিমতো রেশনের ডিলারশিপ খুলে বসেছিলে তারা। কেউ নামে, কেউ বেনামে খুলে ফেলেছিল রেশন ডিলারশিপ। বিষয়টি জানতে পেরে এই ধরণের ডিস্ট্রিবিউটরদের নামের তালিকা তৈরি করেছে ইডি। ইতিমধ্যে রেশন ডিলারশিপ রয়েছে এমন একজন ডিস্ট্রিবিউটারের ঠিকানায় তল্লাশিও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

রেশন ডিলাররা ডিস্ট্রিবিউটারের থেকে খাদ্যশস্য এনে সাধারণ মানুষের মধ্যে বণ্টন করেন। আবার ডিস্ট্রিবিউটাররা চাল আনেন চালকল থেকে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন দুর্নীতি হয়েছে ডিস্ট্রিবিউটারদের মাধ্যমে। কিন্তু দুর্নীতি হলেও কেন অভিযোগ হল না তা বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। কারণ ডিস্ট্রিবিউটার কোনও ডিলারকে রেশনের চাল খোলা বাজারে বিক্রি করতে বললে সেই ডিলারের তো অভিযোগ জানানোর কথা। কিন্তু তেমন অভিযোগ তিনি জানাননি। আর ডিস্ট্রিবিউটাররা ডিলার ছাড়া আর কাউকে খাদ্যশস্য বিক্রি করতে পারবেন না। তাহলে কী ভাবে ডিস্ট্রিবিউটারদের থেকে রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে গেল?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বেশ কয়েকজন রেশন ডিসট্রিবিউটারের নামে বেনামে রেশন ডিলারশিপ রয়েছে। সেই ডিলারশিপের মাধ্যমেই রেশনের সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। অথচ অভিযোগ জমা পড়েনি কোথাও।

ইডির তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গণবণ্টন আইন অনুসারে কোনও ডিসট্রিবিউটারের বা তাঁর নিকটাত্মীয়ের কোনও ডিলারশিপ থাকতে পারে না। এক্ষেত্রে কি তথ্য গোপন করে ডিসট্রিবিউটাররা ডিলাশিপ নিয়েছেন, না কি জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশে তাদের ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

 

বন্ধ করুন