বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > শোভনের ইস্তফার পর ওয়ার্ডের হাল ধরেছিলেন, টিকিট পাওয়া তাই প্রত্যাশিত রত্নার কাছে

শোভনের ইস্তফার পর ওয়ার্ডের হাল ধরেছিলেন, টিকিট পাওয়া তাই প্রত্যাশিত রত্নার কাছে

রত্না চট্টোপাধ্যায়  (ছবি সৌজন্য পিটিআই)

রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, শোভনবাবু মেয়র পদ ছাড়ার পর থেকে এই ওয়ার্ডের যাবতীয় কাজ কর্ম দেখতেন তিনি।

শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের 'দায়িত্ব' সামলেছেন তিনি। এহেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সামনে এবার 'আসল' কাউন্সিলর হওয়ার হাতছানি। তৃণমূলের তরফে টিকিট পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল রত্নার কাছে। তাঁর কথায়, 'বিধায়ক হব কোনও দিন ভাবিনি, তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।'

রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, শোভনবাবু মেয়র পদ ছাড়ার পর থেকে এই ওয়ার্ডের যাবতীয় কাজ কর্ম দেখতেন তিনি। তাই তিনি নিজেকে এখানকার কাউন্সিলর হিসেবেই ভেবেছেন। তিনি বলেন, 'ওয়ার্ডের সঙ্গে এতটাই আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে আমার কখনও মনে হয়নি আমি কাউন্সিলর নই।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেও রত্না জানান, এই টিকিট পাওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিত ছিল। বলেন, 'আমি ভাবিনি কোনও দিন বিধায়ক হব, সেই সম্মান দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।'

উল্লেখ্য, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন। পরে ২০১৮ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। দলের সঙ্গে শোভনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের সব কাজকর্মের তদারকি করতেন রত্না। এদিকে 'এক ব্যক্তি, এক পদ'-এর কথা বলা হলেও রত্না ছাড়া আরও ছয় বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়েছে পুর নির্বাচনের জন্য। ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমার, পরেশ পাল টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পেয়েছেন সাংসদ মালা রায়। তবে মেয়র পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। ভোটের পর সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

 

বন্ধ করুন