পুরভোটে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা সর্বত্রই সবুজ ঝড়। মঙ্গলবার ভোট গণনার প্রথম থেকেই প্রত্যাশামতোই পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই এগিয়ে তৃণমূল। আর এরই মধ্যে সবুজ আবির খেলায় মেতে উঠেছেন তৃণমূল প্রার্থী কর্মী সমর্থকরা।
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
এক সময় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল এই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি তার ছেলেমেয়েকে বলে গিয়েছিলেন যে তাকে ছাড়া রত্না চট্টোপাধ্যায় স্ট্যান্ড করতে পারবে না। এই দাবি করে ভোটে জেতার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রত্না চট্টোপাধ্যায়। ভোটে জেতার পরেই তিনি বলেন,'আমি স্ট্যান্ড করে দেখিয়ে দিলাম। ১০ হাজার ২০৬ ভোটে জিতে গিয়েছি আমি।' রত্নার দাবি, জয়ের নিরিখে তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেউ ছাপিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, 'রেকর্ড ভোটে জিতেছি। এর আগে এত ব্যবধানে এই ওয়ার্ড থেকে কেউ জেতেনি। '
গত বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এরপর শোভনের ওয়ার্ড থেকেও বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তিনি। এই জয়কে তিনি মানুষের জয় বলেই মনে করছেন।
২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে ৬২৯৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সমস্ত নেতা-নেত্রীরা যেখানে পুরভোটকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত ছিলেন সেখানে ভোট দিতে যাননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তার পরিবর্তে রবিবাসরীয় খাবারের মেনুতে ব্যস্ত ছিলেন শোভন। রত্নাকে প্রার্থী করাটা অবশ্য মেনে নিতে পারেননি তিনি। ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে শোভন জানিয়েছিলেন,' কাকে ভোট দেব? পছন্দের কোনও প্রার্থীই নেই। নোটায় ভোট তো দিতে পারি না। ' সে প্রসঙ্গে অবশ্য রত্না বলেছিলেন,' এটা কোনও কথা নয় মানুষ প্রার্থীকে ভোট দেয় না দলকে ভোট দেয়। '