সঞ্জয় রায়।আরজি করের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দোষী। আদালত তার আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে জেলবন্দি সে। এবার সেই জেলবন্দি সঞ্জয়কে নিয়ে বড় আশঙ্কার কথা জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
দার্জিলিং জেলা সিপিএমের ২৪তম জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন সেলিম। সেখানেই তিনি এনিয়ে আশঙ্কার কথা জানান।
মহম্মদ সেলিম বলেন, এনকাউন্টার করে মেরে দিতে চেয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তার ভাইপো তাই চেয়েছিল। এখনও জেলে মেরে দিতে পারে। সাজা খাটতে হবে। ভেবেছিল না রহেগা বাঁশ না বাজেগা বাঁশুরি। একজনকে যদি এনকাউন্টারে খুন করে দেওয়া হয় তবে সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। যতদিন বিচার তদন্ত চলবে ওকে মুখ খুলতে হবে। ওর সঙ্গী যারা ছিল তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। যারা ধামাচাপা দিয়েছে তাদের মোটিভ কী! একা সঞ্জয়কে বাঁচানোর জন্য গোটা রাজ্য সরকার, স্বাস্থ্য় দফতর পুলিশ কমিশনার নেমে পড়েনি। এত কোটি টাকা খরচ করে হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট করতে হয়নি। তাহলে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। এই ডালের মধ্য়ে থেকে কালোগুলে খুঁজে বের করতে হবে।
সেলিম বলেন, আমরা বললাম চোর ধরো। আর রাজ্য সরকার আর সিবিআই চোর পুলিশ খেলা শুরু করে দিল।
সম্প্রতি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, মমতা লিখেছেন, 'আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আজকের রায়ে বলা হল এটা বিরলের মধ্য়ে বিরলতম ঘটনা নয়। আমি সত্যিই হতবাক।
আমার যেটুকু ধারণা এটা বিরলের মধ্য়ে বিরলতম ঘটনা যেটা মৃত্যুদণ্ড দাবি করে। কীভাবে এই বিচারে উপসংহার টানা হল যে এটা বিরলের মধ্য়ে বিরলতম ঘটনা নয়?এই সংবেদনশীল মামলায় আমরা মৃত্য়ুদণ্ডের জন্য আবেদন করব।
সম্প্রতি গত তিন চার মাসে আমরা ক্য়াপিটাল অথবা সবথেকে বেশি শাস্তি নিশ্চিত করতে পেরেছি এই ধরনের অপরাধে। তাহলে কেন এই মামলায় ক্য়াপিটাল পানিসমেন্ট নয়?
আমি দৃঢ়তার সঙ্গে অনুভব করছি এরকম নৃশংস ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দরকার। আমরা দোষীর মৃত্যুদণ্ডের জন্য় হাইকোর্টে আবেদন করব। '
এদিকে জন বারলার তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, উত্তরবঙ্গে আজ যে তৃণমূল কাল সে বিজেপি। ঝান্ডার রংটা আলাদা, কিন্তু দুজনের ঢংটা এক। মানুষকে লুঠ করো। ভাগ করো। তা সে যেকোনও ঝান্ডা নিয়েই হতে পারে। এই ফুলের বিরুদ্ধে ওই ফুল! দুই ফুল মিলে বাংলার মানুষকে এপ্রিল ফুল বানাচ্ছে।