গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত কন্য়া গ্রেফতার ইডির হাতে। বাবা তিহাড় জেলে। মেয়েকে গ্রেফতার করল ইডি। তবে এবার সুকন্যা ইস্যুতে মুখ খুলল তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের গ্রেফতারির বিষয়টি আইনের ব্যাপার। আইন আইনের পথে চলবে। যদি কেউ বা কারা দোষ করে থাকেন তারা শাস্তি পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেস কারও ঢাল হয়ে দাঁড়াবে না। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় বলা যায়। কিছুদিন মা মারা গিয়েছেন। বাবা জেলে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কি বাইরে রেখে তদন্ত করা যেতে পারত না? অনুব্রত মণ্ডল নিজেই তো কারাগারে রয়েছেন। প্রশ্ন কুণালের।
তাঁর আরও প্রশ্ন, নূন্যতম মানবিকতা কি দেখানো যেত না? তার বাবা দোষী না নির্দোষ তা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। এটা ভয়ানক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ কোনও দলের চাপ নয় তো? …তদন্তকারীদের হাতে যদি প্রমাণ থাকে সেক্ষেত্রে তাকে গ্রেফতার না করে তদন্ত করা যেত না? তার বয়স যে খুব বেশি এমনটা নয়। …তাকে কি গ্রেফতার না করে তদন্ত করা যেত না?
তবে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, জেলে যেতেই হবে। সুকন্য়া আজ গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিরাও এবার জেলে যাবে।
বাবা গ্রেফতার হয়েছিলেন ৮ মাস আগে। এবার গ্রেফতার হলেন মেয়েও। সুকন্যাকে বার বার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দিতেন না তিনি।তার হিসেব বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তির সন্ধান মিলেছিল। এবার একেবারে গ্রেফতার সুকন্যা। বাইরে থাকাকালীনও ক্রমেই একা হয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা। এবার একেবারে গ্রেফতার।
আয়ের সঙ্গে মিল নেই তার বিপুল সম্পত্তির। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু তার সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। প্রশ্ন ওঠে তবে কি সুকৌশলে গরু পাচারের টাকা রাখা হচ্ছিল সুকন্যার ভাণ্ডারে?
এরপর তদন্তকারী এজেন্সি একে একে অনুব্রতর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা শুরু করে। কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। পাকড়াও করা হয় তার হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়। এবার একাধিকবার তলব করা হয় সুকন্যাকে। সেই সুকন্যাকেও গ্রেফতার করা হল এবার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup