একেবারে পুরসভা ধরে ধরে রেজাল্ট বের করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। সেই সঙ্গেই ধমকের পর ধমক। সেখানেও একেবারে নাম করে ধমক। এরপর দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রয়োজন আছে কি এখন আর? ওখানে তো পুরসভাও আছে, পঞ্চায়েতও আছে। জেলাশাসকও আছেন। বিরাট বাড়ি বানিয়ে ৪০০-৫০০ লোক, কারও গা টিপছে, কারও মাথা টিপছে। কারও পা টিপছে। বড় বড় বিল্ডিং করে থাকছে। আরাম করছে। যেখানে সরকারে স্টাফ কম সেখানে তাঁদের কাজে লাগিয়ে দাও।
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ নিয়েও মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, হলদিয়াতেও তো পুরসভা রয়েছে। লাভ কী হল? প্রশ্ন মমতার।
এদিকে সোমবার নবান্ন সভাগৃহে একের পর এক নেতাকে নিশানা করে তোপ দাগেন খোদ মমতা। কার্যত কড়া ধমক। সেখান থেকে রেহাই নেই কারোর।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল জমানাতেই একের পর এক উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে ওঠে। এমনকী সেই পর্ষদের মাথাতেও লোকজনকে বসানো হয়। কিন্তু বাস্তবে তারা কাজ কতটা করে তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ মমতা। কিন্তু এবার প্রশ্ন কেন তিনি এভাবে নেতা মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ কর্তাদের তুলোধোনা করলেন।
সেই সঙ্গেই মমতা বলেন, রিভিউ ভিজিল্যান্স হবে। নজরে রাখার জন্য আলাদা কমিটি গড়া হবে। উন্নয়নের কাজে কোনওরকম বাধা সহ্য করা হবে না।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, অনেক অফিসার আছেন। ভাবেন তিনি তো দুবছর থাকবেন। কোনওরকমে কাটিয়ে দিতে পারলেই হল। কিন্তু সেটা তো হবে না। আপনি দুবছর থাকলেও মনে রাখবেন আপনার কার্যসময়ের রিভিউ হবে। আপনি যাওয়ার আগে স্বচ্ছতা মেনে চলেছেন কি না সেটাও দেখা হবে। এখন থেকে রিভিউ কমিটি সেটা দেখবে। সেখানে ভিজিল্যান্স থাকবে, এসিপিকে রাখা হবে। সিআইডিকে রাখা হবে। এডিজি ল অ্য়ান্ড অর্ডার থাকবে। ডাইরেক্টর অফ সিকিউরিটিকেও এখানে থাকতে বলব। পাবলিক সিকিউরিটিটা যেহেতু তাদের দেখতে হয়। জানালেন মমতা।
তবে এদিন নবান্ন সভাগৃহতে মমতার রুদ্ররূপ দেখে ঘাবড়ে যান তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও। মমতা এদিন একেবারে নাম করে ধমক দেন।
মমতা বলেন, 'আমি একটা রাজ্যের রেভিনিউ পাই, সেখান থেকে সেন্ট্রাল গভরনমেন্ট টাকা দেয় না। কোত্থেকে চালাব জানি না, ৩ বছর ধরে ফেস করছি… তারমধ্যে আরও ৫ টা রাজ্যের সব কিছু আমাকে টানতে হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও সে পাচ্ছে, স্বাস্থ্য সাথীও সে পাচ্ছে, বিনা পয়সার রেশনও সে পাচ্ছে।'