এসির হাওয়া খাওয়া রাঘববোয়ালরা কোথায়? তাপস মণ্ডলের কীর্তি ফাঁস করলেন মৌসুমী

তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মৌসুমী কয়াল। তবে এদিন গ্রেফতার হওয়ার পরে তাপস মণ্ডল জানিয়ে দেন তিনি সবরকমভাবে সহযোগিতা করছেন। কেন গ্রেফতার করা হল তিনি জানেন না।

মৌসুমী কয়াল, ফাইল ছবি।

বিগতদিনে কামদুনি কাণ্ডের জেরে বার বার শিরোনামে এসেছিলেন মৌসুমী কয়াল। সেই মৌসুমী কয়াল একটা সময় তাপস মণ্ডলের অফিসে কাজ করতেন। মহিষবাথানের অফিসে কাজ করতেন তিনি। দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রকল্পের কাজ ছিল। সেখানে কর্মরত ছিলেন মৌসুমী। তাঁর মতে, ২০১৬ সালে অনেক কর্মী তাপস মণ্ডলের দুর্নীতির বিষয়টি জেনে যান। তখনই তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকী বিপুল টাকা আয় হলেও কর্মীদের সময় মতো বেতন দিতেন না তাপস মণ্ডল।

তবে  তাপস মণ্ডল সম্পর্কে আগেই মুখ খুলেছিলেন মৌসুমী। তবে এবার তাপস মণ্ডল গ্রেফতার হতেই ফের মুখ খুললেন মৌসুমী। তাঁর মতে যে রাঘব বোয়ালরা এখনও চেয়ারে বসে এসির হাওয়া খাচ্ছেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক।

পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন মৌসুমী কয়াল। তিনি জানিয়ে দেন,  যাঁদের কাছে কোটি কোটি টাকা আছে, তারা কর্মীদের সামান্য টাকা পরিশ্রমও দিতেন না। আশ্চর্যের বিষয় ওই অফিসে যিনি চা বানাতেন, তাকে পর্যন্ত টাকা দেননি। এঁরা এমনই মানুষ। 

এদিন সংবাদমাধ্যমে মৌসুমী বলেন, আরও আগে গ্রেফতারি হওয়া দরকার ছিল। আমরা ছিলাম সামান্য কর্মচারী। কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু আরও আগে তাকে গ্রেফতার করা দরকার ছিল। এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যে তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠতা ছিল তা আগেই জানিয়েছিলেন মৌসুমী।

মৌসুমী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যেভাবে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এখনও চাকরিপ্রার্থীরা, তাঁরা সুবিচার পান। তাপস মণ্ডল তো চুনোপুটি। যে সব রাঘববোয়ালরা আছেন যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এসি ঘরে চেয়ারে বসে রয়েছেন  তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। তিনি বলেন, ইডি সিবিআইয়ের প্রতি আমাদের ভরসা আছে। আরও তথ্য সামনে আসবে।

কার্যত তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মৌসুমী কয়াল। তবে এদিন গ্রেফতার হওয়ার পরে তাপস মণ্ডল জানিয়ে দেন, তিনি সবরকমভাবে সহযোগিতা করছেন। কেন গ্রেফতার করা হল তিনি জানেন না।

এদিকে এর আগে একাধিকবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়়েছিলেন তাপস মণ্ডল। এদিনও জেরা করার জন্য় নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল তাকে। দীর্ঘ জেরা করা হয় তাকে। এরপরই গ্রেফতার।

নীলাদ্রি ঘোষ নামে অপর একজন এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এর আগে তাপস মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি বার বারই কুন্তলের নাম উল্লেখ করেছিলেন। কুন্তল সম্প্রতি জানিয়েছিল কেন তাপস মণ্ডলকে বাইরে রাখা হচ্ছে। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। এদিকে সেই তাপসই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে।