আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ সঞ্জয় রায়কে। আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শিয়ালদা আদালত।
এদিকে এই রায় নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন।সেই সঙ্গেই সিবিআইয়ের হয়েও সাফাই দিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমিও একজন মানুষ। যার হুঁশ আছে সেই তো মানুষ। সমাজ পরিবার কেউ খুশি নয়, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতায় ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট দুভাবে আছে। একটা মৃত্যুদণ্ড, আর একটা আজীবন কারাদণ্ড। মহামান্য বিচারপতি তাঁর ক্ষমতার বলে দিয়েছেন। আমি তার কলম বা রায়কে আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ করছি না।
এরপর এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, পরিবার সিবিআই তদন্তে খুশি নয়।
শুভেন্দু বলেন, আপনি তো অন্য় কথা বলছেন। আজকে তো জাজমেন্ট দিয়েছেন বিচারক। সিবিআই তো সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত করেছে। চার্জশিট না পড়ে আপনারা একপেশে কথা বলছেন। তিরিশটা পয়েন্ট বলেছে। যাতে আরও অনেকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা খোলা রেখেছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআইটা বিষয় নয়। শনিবার চার্জ ফ্রেম করেছিলেন বিচারক। তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেটা নিয়ে প্রশ্ন করছি না। কিন্তু সমাজ জনগণ,পরিবার কেউ এই রায়ে খুশি নয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি নয়, এদের জীবজন্তুর সঙ্গেও তুলনা করা যায় না। এদের ক্ষুধার্থ নেকড়ের সামনে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কার্যত বিস্ফোরক শুভেন্দু।
তিনি সরাসরি রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন আমি খুশি নই।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, কোর্টের নির্দেশের উপর আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা চাইছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। তবে সেই শাস্তি হয়নি। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাকায় কী হবে!
সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না যে সঞ্জয় রায় একলা ছিলেন। কোর্টের রায়ের সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে মনে হয় আরও তদন্তের প্রয়োজন।
এদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তবে তাঁদের অনেকেরই মতে, একলা সঞ্জয় এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন এমনটা হতে পারে না। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ্য়ে আসুক।