বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Regent park suicide: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিন সদস্যের আত্মহত্যার নেপথ্যে কী আর্থিক সংকট?

Regent park suicide: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিন সদস্যের আত্মহত্যার নেপথ্যে কী আর্থিক সংকট?

রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের ৩ সদস্যের আত্মহত্যা। (প্রতীকী ছবি)

বিজয় চট্টোপাধ্যায় আগে সোনা ব্যবসায়ী ছিলেন। বড়বাজারে তাঁর সোনার দোকান ছিল। তবে সম্প্রতি তিনি প্রমোটারিংয়ের পেশায় যোগ দিয়েছিলেন। আগে তাঁরা গার্ডেনরিচের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ছয় মাস আগে রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। তার আগে বাটানগরে থাকতেন। 

রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় একই পরিবারের তিন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কিছুতেই কাটছে না। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অর্থ সংকটের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা-মা এবং মেয়ে। তবে শুধুই কী অর্থসংকট ছিল না কি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। রবিবার ভোরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুঁটিয়ারির গঙ্গাপুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজয় চট্টোপাধ্যায় (৫১), রাণু চট্টোপাধ্যায় (৪৬) এবং ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়ের (২১) ঝুলন্ত দেহ। তিনটি দেহেই পচন ধরেছিল। তা দেখে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত ছিলেন, কয়েক দিন আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার তিনটি দেহের ময়না তদন্ত করার পর জানা যায়, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয় চট্টোপাধ্যায় আগে সোনা ব্যবসায়ী ছিলেন। বড়বাজারে তাঁর সোনার দোকান ছিল। তবে সম্প্রতি তিনি প্রমোটারিংয়ের পেশায় যোগ দিয়েছিলেন। আগে তাঁরা গার্ডেনরিচের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ছয় মাস আগে রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। তার আগে বাটানগরে থাকতেন। তারপর থেকে তিনজন মিলে রিজেন্ট পার্ক এলাকাতেই থাকছিলেন। পুলিশের অনুমান, প্রোমোটারিংয়ের পেশায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন বিজয়। তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বিজয় গত পাঁচ মাস ধরে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারেননি এবং তাঁর দুই মাসের ভাড়া বাবদ ২২,০০০ টাকা বকেয়া ছিল। তাঁর বাড়িওয়ালা ভাড়া দিতে বললে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার মেয়ের কলেজের ফি পরিশোধ করতে হবে। তিনি পরে ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিজয় সম্প্রতি ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিলেন। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে পরিবারটি আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। আমরা আরও তদন্ত করছি।’ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা সাধারণত নিজেদের মধ্যেই থাকত। আশেপাশের কারও সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ করত। তবে মাঝেমধ্যেই তাঁরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিত। তাঁরা একটি সুখী পরিবার ছিল বলেই মনে করতেন প্রতিবেশীরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন