এবার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য দফতরে। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অনিয়ম, অস্বচ্ছতা এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে প্রথমে মামলা হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট)। স্যাট পরীক্ষার্থীদের আবেদন ফেরানোয় সেটা এসে পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট? এই মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকবেন, ১) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস ২) নরেন্দ্রনাথ দত্ত, সচিব, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ৩) অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী, কলকাতা হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ এই কমিটি গঠন করার নির্দেশে দিয়েছে।
আদালতের ঠিক কী পর্যবেক্ষণ? বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জ্বলন্ত উদাহরণ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু ব্যক্তিকে বেছে বেছে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ব্লু–আইড হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কোনওভাবেই কোনও ব্যক্তির অসংবিধানিক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সত্য খুঁজে বের করা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
ঠিক কী নিয়ে মামলাটি? জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৭২৫ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এমএসসি পাশ করেন। তাঁকে মেডিক্যাল টেকনোলজিতে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছেন—এই যোগ্যতা দেখিয়ে ১২ নম্বর দেওয়া হয়। আর কয়েকজন বিএসসি পাশ করা প্রার্থীকে ল্যাব টেকনোলজির যোগ্যতা দেখিয়ে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী শুকদেব মাইতি–সহ বেশ কিছু পরীক্ষার্থী।