‘কালীঘাটের কাকু’র পর এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আজ, শুক্রবার এই নির্দেশ দিল বিচার ভবন। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার আবেদন করা হয়। আজ সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর রেকর্ড করতে পেরেছে সিবিআই। এবার ধৃত আর এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা চাইছে সিবিআই। কারণ তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। আর দু’জনের মধ্যে কথা হওয়ার প্রমাণও পেয়েছে সিবিআই। তাই দু’জনের কণ্ঠস্বরই পরীক্ষা করা দরকার। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী সপ্তাহেই কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করবে সিবিআই।
আজ বিচার ভবনের নির্দেশ অনুযায়ী, কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে পরীক্ষা করতে হবে। আজ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয় বিচার ভবনে। মামলায় অন্যতম অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন–সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা। সেখানে কুন্তল ঘোষ কিন্তু ইডি–সিবিআই দুই মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার ছিল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। সেখানেই কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি চেয়ে বসে সিবিআই। আদালতের পক্ষ থেকে সম্মতি মিলতেই খুশি সিবিআই। কারণ এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এবার কণ্ঠস্বর হাতে এলেই তদন্তের অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: এবার জলপথে ওপার বাংলা থেকে এপারে অনুপ্রবেশ, ক্যানিংয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশের নাগরিক
সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্ত করতে গিয়ে নানা নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তদন্তকারীদের মনে হচ্ছে কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা খুব দরকার। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই অনুমতি দেয় আদালত। আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছিল হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠে আসে। এই ঘটনায় কুন্তলকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তাছাড়া এখন অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি চিকিৎসাধীন বেসরকারি হাসপাতালে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ জানতে চেয়েছিল আদালত। তাই আদালতে হাজির ছিলেন হাসপাতালের প্রতিনিধি। তিনি মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন। বিচারক তাঁর কাছে পার্থকে কবে ছাড়া হবে হাসপাতাল থেকে জিজ্ঞেস করেন। জবাবে হাসপাতালের প্রতিনিধি জানান, দু’এক সপ্তাহ পর ছাড়া হবে। পার্থ যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, সেই হাসপাতালের চিকিৎসক বিচার ভবনে সিবিআই বিশেষ আদালতে ওই কথা জানান। আদালতের শর্ত অনুযায়ী, চিকিৎসাক খরচ পার্থকেই দিতে হচ্ছে।