রিজেন্ট পার্ক এলাকার আনন্দপল্লি। এটাই এলাকার পরিচিত নাম। তার একটি আবাসন বৃহস্পতিবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে। কারণ এই আবাসনের ঘর থেকে একজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে, এটা খুন নাকি আত্মহত্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তমোঘ্ন সেন। এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। আজ নিজের ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আদতে তিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা। থাকতেন কলকাতায়। এই ফ্ল্যাটে অনেকের আনাগোনা ছিল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। রিজেন্ট পার্কের আনন্দপল্লির এই আবাসনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি। আজ তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তমোঘ্ন সেন (২৮) প্রচুর মদ্যপান করতেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা, সেটা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন পুলিশ অফিসাররা।
আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল, বোসের বিরুদ্ধে ফোঁস করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
তাঁর বাবা–মা থাকেন শিলিগুড়ির বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতায় থাকার সুবাদে প্রচুর বন্ধুবান্ধব ছিল তাঁর। এই ফ্ল্যাটে যাতায়াতও ছিল তাঁদের। প্রচুর মদ্যপান করার জেরে তমোঘ্নকে রিহ্যাবেও পাঠায় তাঁর পরিবার। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। দিনেদুপুরেই মদ্যপান করতেন তিনি বলে খবর। আজ সকালে পরিচারিকা যখন তমোঘ্নর ফ্ল্যাটে কাজে আসেন, তখন দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তমোঘ্ন পড়ে রয়েছেন। ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এই দৃশ্য দেখার পর খবর যায় পুলিশের কাছে। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তমোঘ্নকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তমোঘ্নের ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, নিয়মিত মদ্যপান করতেন। মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ খতিয়ে দেখছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করার জেরেই ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তমোঘ্ন। বেকায়দায় আঘাত লেগে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। আর তা থেকেই মৃত্যু। তাহলে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা কেন? তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সবটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।