চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর পালটা সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এক রাত থানায় কাটিয়ে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন অরুণিমা পাল। অরুণিমা সহ ২৯জন টেট চাকরিপ্রার্থীকেই জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। এদিকে গোটা ঘটনায় সারা রাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি অরুণিমার পরিবার। বাড়িতে স্বামী, মেয়ে আর বৃদ্ধা মা। পুলিশের এই আচরণে স্তম্ভিত তাঁরা। অনেকের মতে পুলিশে কামড়ালে কী পরিণতি হতে পারে সেই অভিজ্ঞতারও সাক্ষী হলেন তাঁরা।
এদিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি অরুণিমারা। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।
কিন্তু যে হাতে কামড়ের দাগ সেটা কেমন আছে? অরুণিমা জানিয়েছেন, খুব ব্যথা। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল। প্রথমে কোনও ট্রিটমেন্ট করায়নি। রাতে টিটেনাস ইঞ্জেকশন দিলেও সেই চিকিৎসার কাগজ আমাকে দেয়নি।
এদিকে থানাতেই শুনতে হয়েছে, মৃত্যু হলে দায়িত্ব নেবে পুলিশ। একথা শোনার পরে শিউরে উঠেছেন অরুণিমার বৃদ্ধা মা। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, এই বয়সে কি একথা সহ্য করা যায়? একটি নির্দিষ্ট ভিডিয়োতে পুলিশের মুখে একথা শুনে হতবাক বঙ্গবাসীও। প্রশ্ন উঠছে যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে হাত কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে কি আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ? নাকি তাকে আড়াল করতেই এখন এত তৎপরতা?