স্লগ ওভারে টেনে ছক্কা হাঁকাচ্ছিল অস্বস্তিকর গরম। গতি কমিয়ে দিল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। একেতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে জেরবার হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য। তার ওপর দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রচন্ড গরম। এই জোড়া ফলায় কালঘাম ছুটছে শহরবাসীর। তবে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে আপাতত রেহাই না—মিললেও এই ভ্যাপসা গরমের কবল থেকে মুক্তির স্বাদ যে পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী, সেই বার্তাই বয়ে আনল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ভোটগণনার দিন অর্থাৎ ২ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত টানা ৫ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে।
ওই ৫ দিনের মধ্যে আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কী কারণ এই বৃষ্টি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের উপর ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ রাজ্যের মধ্যভাগে সেই হাওয়া বলয়ের চাপের প্রভাব পড়বে। সেকারণেই এই বৃষ্টির সম্ভাবনা। আরেক দিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ থাকায়, ২ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত আর্দ্রতা বাড়বে রাজ্যে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২’মে রবিবার থেকে শুরু করে ওই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে।
শুক্রবার দফতর আরও জানিয়েছে, ওই ৫ দিনের মধ্যে আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রার পারদও নামতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। ওই সময়ের মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এ ছাড়া, ৩-৫ মে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পরে। এর জেরে ওই সময়ের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমবে। বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিপাতের সময় বাড়ির বাইরে বেরনোর বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একই সঙ্গে কৃষকদের খোলা জমিতে কাজ বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।