ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর চার দিন কাটলেও এখনো লন্ডভন্ড কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। নেই বিদ্যুৎ। কোথাও রাস্তার ওপর এখনো পড়ে গাছ। এই নিয়ে শুক্রবার থেকেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ভিতরে। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শনিবার সন্ধ্যায় নবান্নে উদ্ধারকাজে সময় লাগার একাধিক কারণ ব্যাখ্যা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে অন্যতম শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর। মমতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শনে আসায় ২ বেলা কাজ করতে পারেননি তিনি ও তাঁর প্রশাসন।
এদিন মমতা বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ২টো বেলা থাকতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এলে তাঁর নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকেন আমলা ও পুলিশ আধিকারিকরা। ফলে একটা দিন কোনও কাজই করা যায়নি।’
বলে রাখি, গত বৃহস্পতিবার আমফান বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আহ্বান জানান খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, এসে দেখে যান। কী ভয়াবহতা গিয়েছে।’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানানো হয় শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিমানে করে এসে হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করে বিমানে ফেরত চলে গিয়েছেন। এতে প্রশাসনের কী কাজ? প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাই সব ব্যবস্থা করেছেন।’ দিলীপবাবু জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় আসছে জেনেও কোনও প্রস্তুতি বৈঠক করেনি রাজ্য সরকার। এখন পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় অভিনব সব অজুহাত আবিষ্কার করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’