প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বাদ পড়েছেন অনেকেই। বলা হয়েছিল, তাঁদের অন্য কাজে লাগানো হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিজেপির সাংগঠনিকপদ বা অন্য কোনও দায়িত্বে আনা হয়নি। বরং তাঁদের নতুন ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বিজেপিতে। তারই মধ্যে গেরুয়া শিবিরে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে কে, কোন দায়িত্ব পাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে দলের অন্দরে নানা ফিসফাস।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মেগা রদবদলের পরই বিজেপির পক্ষ থেকে শোনা গিয়েছিল, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে দলের সাংগঠনিক বা অন্য কোনও পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তার পর থেকে প্রায় একমাস কেটে যেতে বসেছে এখনও কেউ কোনও দায়িত্ব পাননি। এমনকী কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরকে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির রাজ্য নেতা বলেন, ‘ওই সব মন্ত্রীদের বিশেষ কারণে অপসারণ করা হয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁদের আর কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে হয় না।’ তাহলে তাঁরা কী করবেন? রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ওই নেতা জানিয়েছেন। উল্রেখ্য, গত ৭ জুলাই মেগা রদবদল হয় মোদী মন্ত্রীসভায়। বাদ পড়েন ডিভি সদানন্দা গৌড়া, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক, ডাঃ হর্ষ বর্ধন, প্রকাশ জাভাড়েকর, সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার, ধোত্রে সঞ্জয় শামরাও, রতনলাল কাটারিয়া, প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গির মতো প্রবীণ মন্ত্রীরা। বাংলার দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীও বাদ পড়েছেন।
ব্যতিক্রমও দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর থাওয়ারচাঁদ গেহলটকে বসানো হয়েছে কর্নাটকের রাজ্যপাল পদে। বিজেপি একটি সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং প্রকাশ জাভড়েকরের মতো দুই হেভিওয়েট প্রাক্তন নেতাকে নতুন পদে নিয়ে আসতে পারে বিজেপি। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ–সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে তাঁদের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় দায়িত্বে নিয়ে আসা হতে পারে দুই নেতাকে।
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তিন বছরের মাথায় দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন মুকুল রায়। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। ফলে পদটি খালি হয়েছে। সেখানেও কাউকে নিয়ে আসা হতে পারে। ওই প্রাক্তন মন্ত্রীদের বেশ কয়েকজনকে সামনে আনতে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিজেপি।