বাবা-মায়ের 'হাল না ছাড়া' মনোভাবের জন্যই কি আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে তৎপরতা বাড়ল সিবিআইয়ের? একটি মহলের তরফে এমনই দাবি করা হচ্ছে। ওই মহলের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাবা-মা কলকাতা থেকে দিল্লি (সিবিআইয়ের সদর দফতর পর্যন্ত) কার্যত ছুটে বেড়ানোর পর অবশেষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়ায় নতুন করে গতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও এই ঘটনায় বিশেষ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে তারা!
গতকালই (বৃহস্পতিবার - ২০ মার্চ, ২০২৫) আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে ওই হাসপাতালের মোট সাতজন নার্সকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই-এর কলকাতার দফতরে। তাঁদের সকলকেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
এঁরা সকলেই ঘটনার রাতে (৯ অগস্ট, ২০২৪) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। এঁদের মধ্য়ে আবার চারজন নার্স নাকি চেস্ট মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন ওই রাতে। তাঁদের কাছে তাই বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য থেকে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল, সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিলেও যাঁরা ওই রাতে হাসপাতালে নিজেদের ডিউটিতে ছিলেন, যাঁরা হয়তো অনেক কিছুই দেখেছেন বা শুনেছেন, তাঁদের কাউকেই সিবিআই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। কিন্তু, সেটা তো তাদের প্রথমেই করা উচিত ছিল।
এই বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সিবিআই-এর অধিকর্তার সঙ্গেও কথা বলে আসেন সন্তান হারানো বাবা-মা। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর মামলার শুনানি করতে পারবে। আর, তারপরই সিবিআই-এর তৎপরতা এই ঘটনায় বাড়ে।
সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার সাতজন নাার্সের পর আজ (শুক্রবার - ২১ মার্চ, ২০২৫) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আটজন নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, এই আট নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার রাতে হাসপাতালে ডিউটি করেছিলেন। সূত্রের দাবি, ওই রাতে তাঁরা কাদের হাসপাতালে ঢুকতে বা বেরোতে দেখেছিলেন, কোনও অস্বাভাবিক কিছু তাঁদের চোখে পড়েছিল কিনা, বিশেষ করে উল্লেখ করার মতো কোনও শব্দ তাঁরা শুনেছিলেন কিনা, কারও গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল কিনা - এই সমস্ত প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট আটজন নিরাপত্তারক্ষীকে করা হতে পারে।