যাত্রীদের সুবিধার্থে বসানো হয়েছিল ঠান্ডা পানীয় জলের কিয়স্ক। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই কিয়স্ক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে জলের কল! শিয়ালদা স্টেশন দিয়ে যাঁদের নিত্য যাতায়াত রয়েছে, তাঁরা হয়তো অনেকেই এই ঘটনা লক্ষ করেছেন। কিন্তু, এবার এই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন এক রেলযাত্রী। বলা ভালো, এই ঘটনার প্রতি রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ওই যাত্রীর নাম ভাস্কর মিত্র। সম্প্রতি তিনি স্টেশন কর্তৃপক্ষ তথা রেল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে লাগানো ঠান্ডা জলের কিয়স্ক থেকে কল উধাও হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি। এবং কর্তৃপক্ষ যাতে এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করে, সেই আবেদনও জানিয়েছেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই শিয়ালদা স্টেশন দিয়ে লক্ষ লক্ষ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। গরম যত বাড়ে, যাত্রাপথে তাঁদের কষ্টও বাড়ে। সেই কষ্ট কিছুটা লাঘব করতেই স্টেশন চত্বরে ঠান্ডা জলের কিয়স্ক বসানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই কল চুরি করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে সেই কিয়স্ক বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
যাত্রীদের একটা অংশ এই ঘটনার জন্য 'নেশাখোর'দের দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্টেশন চত্বরেই নাকি অনেক নেশাখোর ব্যক্তি ঘুরে বেড়ান, তাঁরাই ওই সব কল চুরি করেছেন! যদিও এমন দাবির কোনও সত্যাসত্য হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যাচাই করেনি।
যাত্রীদের আর একটা অংশ আবার বলছেন, যিনি বা যাঁরাই এই অপকর্ম করে থাকুন, যেকোনও সভ্য সমাজে এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় - যেখানে অবাধে সরকারি সম্পত্তি এভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে।
এই যাত্রীরা বলছেন, অবিলম্বে চুরি যাওয়া কলের শূন্যস্থান পূরণ করে নতুন কল লাগানোর ব্যবস্থা করা দরকার। তা না হলে গরমে যাত্রীদেরই কষ্ট বাড়বে। একইসঙ্গে এমন ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে কোনও অসাধু লোকই ওই কল বা কিয়স্কের অন্য কোনও সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যেতে না পারে। পাশাপাশি, কিয়স্কের আশপাশে নজরদারি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করছেন কেউ কেউ।
অন্যদিকে, শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। কারা এই অপকর্ম করেছে, সেটাও শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি, ওই কিয়স্কগুলি যাতে পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা যায়, কর্তৃপক্ষের তরফে তার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।