দিনভর উত্তেজনার পর অবশেষে জোকা ইএসআই হাসপাতালের কাছে উদ্ধার হওয়া ব্যাগভর্তি মাংসের উৎস জানা গেল। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ওই মাংস মনিটর লিজার্ড অর্থাৎ গোসাপ জাতীয় কোনও প্রাণীর হতে পারে!
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে জোকা ইএসআই হাসপাতাল। কারণ, হাসপাতালের বয়েজ হস্টেলের পিছন থেকে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তার ভিতর ছিল একতাল ছাল ছাড়ানো মাংস!
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সবার প্রথমে সংশ্লিষ্ট ক্যান্টিনের কর্মীরা ওই ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগের ভিতর মাংসপিণ্ড দেখে তাঁরা ঘাবড়ে যান। মুহূর্তে এই ঘটনা চাউর হয়ে যায়। পৌঁছে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ভিড় জমতে শুরু করে উৎসাহী মানুষজনেরও। সকলেরই মনে তখন একটাই প্রশ্ন ছিল। এই মাংস কোনও নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী বা মানুষের নয় তো?
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগের ভিতর থাকা মাংসপিণ্ড দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, সেটি কোনও মানুষের নয়, অন্য কোনও প্রাণীর। কিন্তু, বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরীক্ষা না করা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষেও কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব ছিল না।
ফলত, ওই মাংসের পিণ্ড সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার জন্য ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তার প্রাথমিক যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে স্বস্তির বার্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অস্বস্তির কারণও। স্বস্তি এই কারণে যে ওই মাংসের পিণ্ড কোনও মানব শরীরের অংশ নয়। আর বিষয়টি অস্বস্তিকর এবং দুশ্চিন্তার, কারণ - ওই মাংস খুব সম্ভবত মনিটর লিজার্ড অর্থাৎ গোসাপ জাতীয় কোনও প্রাণীর!
তথ্য বলছে, এই মনিটর লিজার্ড একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। যার শিকার করা, বা তাকে মারা বন্যপ্রাণ আইন অনুসারে অপরাধের মধ্যে পড়ে। সেখানে কে বা কারা এমন প্রাণীকে মেরে, তার ছাল ছাড়িয়ে, মাংসপিণ্ড ব্যাগে ভরে ফেলে দিয়ে গেল, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।
এর পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে, নাকি নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি বন্যপ্রাণ আইন লঙ্ঘন করেছে, আর তেমনটা হলে কেন তা করা হয়েছে, এসবই খতিয়ে দেখা দরকার। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। কে বা কারা এই মাংসের পিণ্ড-সহ ব্যাগ এমন ব্যস্ত এলাকায় ফেলে দিয়ে গেল, তাও খতিয়ে দেখা হবে।