আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনই রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠল। যেখানে আজ সর্বধর্ম সমন্বয় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে দেখা গেল, রাজভবন চত্বরে হঠাৎই থমকে দাঁড়িয়েই পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও আবার বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে। এই ছবি ধরা পড়তেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। তখনও অনেকে বুঝতে পারছেন না ঠিক কী হয়েছে সেখানে। পরে জানা গেল, সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজভবনের ভিতরে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। রীতি মেনেই প্রত্যেক বছর রাজভবনে সান্ধ্যকালীন চা–চক্র মিলিত হন রাজ্যপাল–মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্য–রাজভবন ‘দ্বন্দ্ব’ সামনে চলে এল।
এখানে আজ, রবিবার অভিযোগ উঠেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে ঢুকে গেলেও তাঁর সঙ্গে থাকা কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েই ব্যান্ডের দলকে ভিতরে নিয়ে আসেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে দাঁড় করিয়ে রেখে বিএসএফকে দিয়ে অনুষ্ঠান করানো হচ্ছে? কেন বাইরে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে? এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই মমতা–আনন্দ বোসের চা–চক্র নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কার মেঘ দেখছেন। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই রাজভবনে অনুষ্ঠান করে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের কাজে খুশি, বাংলার চার জেলাশাসককে পুরষ্কৃত করল নির্বাচন কমিশন
রবিবার গোটা দেশে ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য বছরের মতো আজও রাজভবনে অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডেরও। প্রতি বছরই পারফর্ম করে থাকে তারা। কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে দেখে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর করেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন গোটা ঘটনা। তাতেই রেগে যান তিনি। বিএসএফের ব্যান্ড অনুষ্ঠান করছিল বলে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে জায়গা দেওয়া যায়নি। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন সরকারি অফিসারের উপর উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওখানেই জানান, বাংলার রাজভবনের সবরকম দেখাশোনা করে রাজ্য সরকার। সেখানে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এমন ব্যবহার ঠিক নয়।
আজ বিকেলে এই ঘটনা দেখে নিজেই হস্তক্ষেপ করেন। সূত্রের খবর, তারপরই পারফর্ম করে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রেড রোডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পূর্ণ মর্যাদায় পালিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবস। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় উঠে আসে দেশাত্ববোধক গানের লাইন, ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো।’ আজ রাজভবনে চা–চক্রের আমন্ত্রণ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু এই ঘটনার পর চা–চক্র সরগরম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।