আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসে বিশেষ বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বধর্ম সমন্বয় নিয়ে যেমন নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন তেমনি সংবিধানকে সম্মান দেওয়ার কথাও বলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন দেশের অখণ্ডতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে। আজ ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তাঁর বার্তায় উঠে এল দেশাত্ববোধক গানের লাইন, ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো’।
এদিকে আজ রেড রোডে সেনাবাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পূর্ণ মর্যাদায় পালিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী–আমলা এবং প্রশাসনিক কর্তারা। আজ মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লেখেন, ‘আজ আমি আমাদের সংবিধানের ৭৬ বছর উদযাপন করতে রেড রোডে বিশাল সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছিলাম। সার্বভৌমত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূলে থাকা ভারতের স্বপ্নের জীবন্ত প্রমাণ। এই দিনটি শুধু একটি স্মরণে নয়, এই নির্দেশক নীতিগুলির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করার জন্য এটি একটি আহ্বান।’
অন্যদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রী বেশ খুশি ছিলেন। মঞ্চে বসে সবটা দেখেছেন। রাজ্যের নানা ট্যাবলোও ছিল। তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আজ প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এক গর্বের দিন। এই বিশেষ দিনে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে সংবিধানের মূল ভিত্তি তথা সার্বভৌমত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুন্ন রাখার জন্য। আমরা সেই সাহসী আত্মাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যাঁরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন এবং বাবাসাহেব আম্বেদকর–সহ সেই স্বপ্নদর্শীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছেন। তাঁদের প্রজ্ঞা আমাদের জাতিকে পথনির্দেশ করে চলেছে। আসুন আমরা একতা, সম্প্রীতি এবং সকলে মিলে একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করি। যা আমাদেরকে জনগণ হিসাবে তুলে ধরে।’
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার কবলে তিরুপতি এক্সপ্রেস, হাওড়ায় লাইনচ্যুত বগি, সাধারণতন্ত্র দিবসে বিপত্তি
এছাড়া প্রত্যেক বছরের মতো এবারও রেড রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন লোকশিল্পীরা। লোকশিল্পের পুনরুজ্জীবনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই রাজ্যের লোকশিল্পীরা ভাতা পাচ্ছেন এবং অনুষ্ঠানপিছু টাকাও পাচ্ছেন। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবনের লোকশিল্পীরা আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশও করেন। মুখ্যমন্ত্রীর লেখনিতে উঠে আসে, ‘আমাদের ধাত্রীভূমিকে স্বাধীনতার মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ যাঁরা করে দিয়েছিলেন, সেই সকল বীর শহিদকে আজকের দিনে বিনম্র চিত্তে প্রণাম জানাই। আমাদের আজকের শপথ হোক জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, সম্প্রীতি এবং সর্বধর্মসমন্বয়ের পরম্পরার, মহান ঐতিহ্যের সুদৃঢ় বন্ধনকে অটুট রাখার।’