নিউটাউনের বেশ কিছু ব্লককে জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হল নিউটাউনের বাসিন্দাদের সংগঠন নিউটাউন ফোরাম। এ নিয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তাদের বক্তব্য, এই শহরের কিছু ব্লককে পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।
বর্তমানে নিউটনের যাবতীয় পরিষেবার দায়িত্ব রয়েছে নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (এনকেডিএ)। তারাই নিউটাউনে সমস্ত রকমের পরিষেবা থেকে শুরু করে সংস্কারের কাজ করে থাকেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিউটাউন রাজ্যের অন্যতম স্মার্ট শহর। তারপরেও কেন সেখানকার একাধিক ব্লককে পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। ফোরামের অন্যতম কর্তা সমর দাস বলেন, ‘নিউটাউন এলাকায় অনেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং আইনজীবী রয়েছেন। তাঁরা আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শ মেনে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।’
ফোরামের বক্তব্য, নিউটাউনকে পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হলে সেক্ষেত্রে অনেক রকমের সমস্যা দেখা যাবে। যার মধ্যে রাস্তার পাশে ব্যাঙের ছাদের মতো বিভিন্ন ধরনের দোকান গড়িয়ে উঠবে। তাছাড়া বর্তমানে তাঁরা নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথোরিটিকে কর দিচ্ছেন। পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত হলে তাঁদের অতিরিক্ত কর দিতে হবে বলে মনে করছে ফোরাম। নিউটাউনের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মনোতোষ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘নিউটাউন রাজ্যের অন্যতম স্মার্ট শহর। কেন পঞ্চায়েতের মধ্যে আনা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’
বাসিন্দারা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেবেন। কিন্তু, পরে তাঁরা মনে করেন যে সেখানে চিঠি দিয়ে কোনও লাভ হবে না। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বাসিন্দাদের দাবি নিউটাউনকে পঞ্চায়েতের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত না করে বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্ভুক্ত করা বা আলাদা পুরসভা করা হোক।