বাড়ি হেলে পড়া নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর আগে বলেছিলেন সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়। এবার সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন কলকাতায় একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ছে। কী বলবেন?
সেই প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ছে এমন নয়। কলকাতার বাড়ি হেলে পড়েছে বহু বছর ধরে। ক্যামাক স্ট্রিটের বাড়ি হেলে রয়েছে আমি ছোটবেলা থেকে দেখছি। একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ছে। তাতে আমরাও হেলে পড়ছি। ক্রিস্টোফার রোডে যেটা হেলে পড়েছে আমি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার দেখেছেন। সোমবার ফাইনাল রিপোর্ট দেবেন। তারপর আমরা পদক্ষেপ নেব। এখন কোনও বেআইনি বাড়ি হচ্ছে না। জোর করে বলছি। আগে যেটা ভুল হয়েছিল রোস্টার ডিউটি ছিল না বলে এদিক ওদিক ইললিগাল হয়েছে। বা হয়তো আন্ডার হ্যান্ড টাকাও খেয়েছে কেউ কেউ। এখন রোস্টার হওয়াতে, অ্য়াপের মাধ্য়মে হওয়াতে সেই মানুষটার চাকরি চলে যাবে। এসইি বা এই যারা আছেন…যে বিল্ডিংটার কথা বললাম সেটা সাত বছর আগের বিল্ডিং। পাশের বিল্ডিংটা হয়েছে বলে এটা হেলে পড়েছে। …কোর্ট বলেছে একটা হিয়ারিং দিয়ে তারপর ভাঙা হবে। ৪০১ নোটিশ দেওয়া আছে। ’
শুভেন্দুর হেলে পড়া হাকিম মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ পালটা বলেন, ‘পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়। যখন সবাই মেয়র ছিলেন কোন না কোনও সময় বাড়ি হেলে পড়েছে। তার মানে সব বাড়ি যে বিপজ্জনক তেমনও নয়। আবার সব যে বেআইনি সেটাও নয়। বেআইনি একটা ট্রাডিশন। বিএলআরওর নাকি চটি খয়ে যেত কেউ প্ল্যান আনত না। …চেষ্টা করছি। এতদিন যেটা হয়নি। একটা লেট হয়েছে। ’
অন্যদিকে ফিরহাদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে বলছি দয়া করে দেখে নেবেন। বেআইনি প্রমোটারদের হাত থেকে ফ্ল্যাট কিনবেন না। রেরার রেজিস্ট্রেশন দেখবেন। কর্পোরেশন খাতায় আছে কি না দেখবেন। তাহলে আপনার দায়িত্ব। তার দায়িত্ব কেউ নিতে পারে না। ’
এদিকে এর আগে ফিরহাদ বলেছিলেন, সব হেলে পড়া বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় অনেকগুলি বাড়ি আছে। আংশিক হেলে গেছে। বছরের পর বছর। …এদিকের বাড়িটা স্যাংশান প্ল্যান। যদিও বাড়ি যারা আছেন… স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি টেস্ট হবে।
এরপরই এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন এক্স হ্যান্ডেলে, ‘সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়’ - ফিরহাদ ‘হেলে পড়া’ হাকিম
হেলায় বলে দিলেন কলকাতার অপদার্থ মেয়র। অবশ্য হাল আমলের বাড়ি হেলে পড়লে মাথা না কাজ করাই স্বাভাবিক !
ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, ঐতিহাসিক বাড়ি, জমিদারি বাড়ি, আকাশচুম্বী বহুতল, পোড়া বাড়ি, ভূতুড়ে বাড়ি, জীর্ণ বাড়ির পরে কলকাতা পুরসভার দৌলতে নতুন আকর্ষন হলো 'হেলে পড়া বাড়ি'। লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।