ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে সিট। সেই সিটের মাথায় বসানো হল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মঞ্জুলা চেল্লুরকে। যিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। ছিলেন নারদ মামলা শুনানিতেও।
গত অগস্টে ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, হত্যা, ধর্ষণ এবং মহিলাদের উপর অপরাধের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। এছাড়া বাকি অভিযোগের তদন্ত করবে সৌমেন মিত্র, সুমন বালা, রণবীর কুমারকে নিয়ে গঠিত তিনজনের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সিটের তদন্ত আদালতের নজরদারিতে হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু অভিযোগ উঠছিল, সিবিআই তৎপর হলেও সিটের তদন্ত সেভাবে এগোচ্ছে না। সেই অভিযোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সিটের তদন্তে সহযোগিতার জন্য ১০ জন আইপিএস অফিসারকে নিয়োগ করেছে নবান্ন। সূত্রের খবর, চারটি জোনে (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণ জোন) দু'জন করে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দু'জন থাকবেন সিটের প্রধান দফতরে। পরদিনই সেই সিটের মাথায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) চেল্লুরকে বসানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বীরভূমের নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুনের ঘটনায় রামপুরহাট আদালতে ৩৮০ পাতার চার্জশিটে শেখ মইনুদ্দিন ও ইমরান শেখের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। চাপড়ায় বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে দু'জনকে পাকড়াও করা হয়েছিল। পরে আরও দু'জন আত্মসমর্পণ করেছেন। জগদ্দলের বিজেপি কর্মীর মা শোভারানি মণ্ডলকে খুনের ঘটনায়ও সিবিআইয়ের জালে একজন ধরা পড়েছেন। যদিও সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য।