জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। যে টাকা পেনশন বাবদ মেলে তাতে চালানো যাচ্ছে না। তাই অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ডিএ বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা হলেই এই অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। এমনই মনে করছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা। ইংরেজি নতুন বছর পড়েছে। এখনও রাজ্য সরকার ডিএ বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জন্য। তাই দ্রুত ডিএ ঘোষণার দাবি জানিয়ে একটি শিক্ষক সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে।
আবার অনেকে এই ঘটনা জানতে পেরে বলছেন, এখন তো সরকারি পেনশন অনেক টাকা বেড়েছে। তাহলে আবার ডিএ কেন? আর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বক্তব্য, এই ডিএ ঘোষণা হলেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের পেনশন কিছুটা বাড়বে। তাতে বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যাবে। না হলে কষ্টে দিনযাপন করতে হবে।
এই বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মহামারির মধ্যেই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এক দফা ডিএ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু চলতি বছরে আমরা এখনও পর্যন্ত ডিএ ঘোষণার কোনও ইঙ্গিতই পেলাম না। বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।’
সুতরাং এই চিঠি এখন পৌঁছে গিয়েছে নবান্নে। এখন দু’বছর ধরে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় নতুন কাঠামোয় বেতন পেয়ে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু অবসরপ্রাপ্তরা চাইছেন ডিএ। এই বিষয়ে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বছর এখনও ডিএ ঘোষণা হয়নি। ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কিছু ক্ষোভ রয়েছে। অবসরপ্রাপ্তরাও এই ক্ষোভের বাইরে নয়।’ উল্লেখ্য, ডিএ বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন।