করোনা আবহে খাদ্যরসিক বাঙালি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিল। গত বছরের দুর্গাপুজোতেও অনেক বিধিনিষেধ ছিল। তাছাড়া করোনা আতঙ্কের জেরে অনেকে নিজে থেকেও সংযমের পথ অবলম্বন করেন। তবে এবছরের পুজোতে সব ধৈর্যে বাঁধ যেন ভেঙে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুজোর সময় রাস্তায় নেমেছিল আপামর বাঙালি। পুজো দেখার পাশাপাশি ভিড় দেখা গিয়েছিল কলকাতার রেস্তোরাঁগুলিতে।
জানা গিয়েছে, পুজোর সময় মানুষের ভিড় সামলাতে অনেক রেস্তোরাঁকে নাকানি চোবানি খেতে হয়। শুধু তাই নয়। অনেক রেস্তোরাঁতেই নাকি খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেনরকে শাটার নামিয়ে দিতে হয়েছিল। এই আবহে অনেক রেস্তোরাঁ মালিকদের বক্তব্য, গত এক দশকে এরকম লাভবান সপ্তাহ তারা কাটাননি।
ধর্মতলায় গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের কাছেই মন্থন সংহাই নামক রেস্তোরাঁর পরিচালক তথা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট সুরেশ পোদ্দার বলেন, 'সাধারণত পুজোর সময় আমরা স্বাভাবিক সময়ের দুইগুণ ব্যবসা করি। তবে এবার ২০১৯ সালের উত্সবের মরশুমের থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ব্যবসা করেছি।'
উত্সবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে আগের থেকে সামগ্রী মজুদ করে রাখলেও ষষ্ঠীতেই সামগ্রী কম পড়ে যায় তাঁর রেস্তোরাঁয়। নবমীতে একই সমস্যার মুখে পড়েন পার্কস্ট্রিটের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ট্রিঙ্কাসের মালিক আনন্দ পুরীও। ওহ! ক্যালকাটা, ফ্লেম অ্যান্ড গ্রিল, মেনল্যান্ড চায়নার মতো ৩৮টি রেস্তোরাঁর মালিক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ও জানান যে তাঁর রেস্তোরাঁগুলিতে গ্রাহকদের জায়গা দিতে সমস্যা হচ্ছিল।