১১ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার বিচার। সেই মামলার বিচারে প্রথম দিনই সাক্ষ্য দেন নির্যাতিতার বাবা। আদালতেই প্রথমবারের মতো অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সামনাসামনি দেখেন তিনি। এই আবহে সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে দাবি করা হল, সামনাসামনি দেখে নাকি অভিযুক্তকে চিনতেই পারেননি নির্যাতিতার বাবা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমদিনের সাক্ষ্য দিয়ে যখন আদালত থেকে নির্যাতিতার বাবা বেরিয়ে আসেন, তখন নাকি তিনি একজন আইনজীবীকে বলেন, সঞ্জয়কে দেখে তিনি চিনতেই পারেননি। (আরও পড়ুন: কাজের জন্যে মেট্রোর পরিষেবায় পরিবর্তন, নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা, কী বলছে রেল?)
আরও পড়ুন: বাংলায় জুড়েছে ২ রেলপথ, নয়া রুটে ট্রেন চালুর আগে অবশ্য ভোগান্তি লোকাল যাত্রীদের
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, এতদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সঞ্জয় রায়ের অনেক ছবি তিনি দেখেছেন। তবে সামনাসামনি এই প্রথম অভিযুক্তকে দেখলেন। এই আবহে মিডিয়ায় যে ছবি দেখানো হয়েছে, তার সাথে সামনাসামনি অভিযুক্তের চেহারা মেলাতে পারেননি তিনি। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা। তাঁর চোখে জল এসেছিল। ধরা গলায় নিজের বয়ান দেন তিনি। অভিযুক্তদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গার দিকেও নাকি তাকিয়েছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল চোখ ছানাবড়া করে দেওয়া 'জিনিস', হতবাক আধিকারিকরা)
আরও পড়ুন: 'উধাও' সরকারের ৪০ লাখ, ভাতা পাচ্ছে না মানুষ, বিস্ফোরক অভিযোগ TMC কাউন্সিলরেরই
রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন সিবিআই আধিকারিকরা সোদপুরের বাড়ি থেকে নির্যাতিতার বাবাকে গাড়ি করে আদালতে নিয়ে এসেছিল। তাঁর সঙ্গে এক পারিবারিক বন্ধুও ছিলেন। এদিকে পানিাহাটি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়েরও সাক্ষ্য গ্রহণ হয় আদালতে। সিপিএমের টিকিটে এককালে কাউন্সিলর হওয়া এই সঞ্জীব ২০১৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী এদিন 'ক্রস' বা পালটা প্রশ্ন করেন নির্যাতিতার বাবাকে। মেয়ের ওপর নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আদালতে কেঁদে ফেলেছিলেন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা। (আরও পড়ুন: ৩-৪ দিনে নামতে পারে পারদ, বলছে রিপোর্ট, শীত নিয়ে বড় আপডেট IMD প্রধানের)
প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই বিচার প্রক্রিয়াটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয়েছিলেন। নির্যাতিতার পক্ষে এদিন আদালতে হাজির ছিলে আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। উল্লেখ্য, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, অভিযোগকারীর আইনজীবী আদালত কক্ষে হাজির থাকতে পারবেন বিচারপর্ব চলাকালীন। যদিও তিনি শুনানির সময় সওয়াল-জবাব করতে পারবেন না। তবে সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়ে গেলে পরে অভিযোগকরীর আইনজীবী তাঁদের সওয়াল-জবাব করতে পারবেন। আর এই মামলায় অভিযোগকারী নির্যাতিতার বাবা। এই আবহে 'ডিফ্যাক্টো আইনজীবী' হিসেবে আদালত কক্ষে ছিলেন বৃন্দা গ্রোভার।