আরজি কর মামলায় কি নির্যাতিতা কি গণধর্ষণের শিকার? আজ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই প্রশ্নই করলেন সিবিআই-কে। এদিকে মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে, তা জানতে চায় আদালত। পাশাপাশি আরও একাধিক প্রশ্নে আজ উচ্চ আদালতে বিদ্ধ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুযোগ বুঝে রাজ্যের তরফ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিবিআইকে বিঁধে সওয়াল করেন। (আরও পড়ুন: সেনা প্রধান নিয়ে 'সারজিস বনাম হাসনাত' বিতর্কে পুড়েছে মুখ, ক্ষমা চাইল নাহিদের দল)
আরও পড়ুন: 'ষড়যন্ত্রীদের গোপন চ্যাট' সরকারের হাতে,ওদিকে কেলগ কলেজে চিঠি গেল মমতার বিরুদ্ধে
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ আদালতে জাস্টিস ঘোষ সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, 'এটা গণধর্ষণ না ধর্ষণ? গণধর্ষণ হলে সন্দেহভাজন কারা? পরে আর কী তদন্ত করলেন? একটা চার্জশিটের পর আর কোনও চার্জশিট দেননি। যেহেতু এই মামলায় একজনের সাজা হয়েছে, সেখানে কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত, নাকি আরও কেউ জড়িয়ে আছে?' এই আবহে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, 'আমাদের আরও একটু সময় দেওয়া হোক।' তখনই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'সব অফিসাররা তৈরি থাকলে আবার কী সমস্যা আপনাদের?' (আরও পড়ুন: ক্রমেই গরম বাড়বে কলকাতায়, এরপর বাংলার কোথায় আর কবে বৃষ্টি হবে?)
আরও পড়ুন: নাগপুর হিংসার ‘মূলচক্রী’ ফাহিম খানের বাড়িতে বুলডোজার চালাল পুরসভা
এদিকে এদিন রাজ্যের তরফ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের কোনও তদন্তে আপত্তি নেই। তবে আদালত কী ট্রায়ালের পর কাউকে ফের তদন্তের কথা বলতে পারে? ট্রায়াল কোর্টের কাছে যান নি। এই গত এক বছর ধরে সিবিআই কী করছে, সেটা মানুষ জানতে চায়। এদিকে নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে কেন এসেছে? বিশেষ আদালতে আবেদন জানাচ্ছে না কেন?'
আরও পড়ুন: তুলসির কথাই প্রমাণ করলেন BNP নেত্রী, বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দু পরিবার, দল বলল…
এই সওয়াল জবাবের মাঝে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র আদালতে আবদেন জানান, এই মামলায় পরবর্তী তদন্ত যেন আদালতের নজরদারিতে হয়। এর জন্যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে এসআইটি গঠনের দাবি তোলা হয়। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, সিবিআই তদন্ত শুরুর পরে প্রায় সাড়ে সাত মাস অতিক্রান্ত হলেও আরজি করের নিরাপত্তারক্ষী এবং নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আদালত যাতে সিবিআই-এর কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চায়, তার আবেদন জানায় পরিবার। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্যে ২৮ মার্চের তারিখ ধার্য করেছে উচ্চ আদালত।