আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার চিঠিতে অত্যন্ত ‘ভ্যালুয়েবল ইনপুট’ আছে। যা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেও দেখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা প্রকৃত। তিনি যে চিঠি দিয়েছেন, সেটা আমরা সামনে আনব না। কারণ সেটা গোপনীয়। আমরা বলতে চাই যে সিবিআইয়ের জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (ভ্যালুয়েবল ইনপুট)।’ যে নির্দেশ মেনে কাজ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। সেই রিপোর্টেও কী কী বলা আছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত যে যে বিষয় উত্থাপন করেছিল, সেগুলির প্রতিটির উত্তর সিবিআই দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টেও।
CBI-র রিপোর্টে সব প্রশ্নের জবাব আছে, খুশি সুপ্রিম কোর্ট
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘সিবিআই কী তদন্ত করছে, সেটা যদি আজই সামনে আনা হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটা ঘেঁটে যাবে। সত্যের উদঘাটনের জন্য সিবিআই যে পন্থা নিয়েছে, (সেটা ঘেঁটে যাবে)। (টালা থানার তৎকালীন) ওসিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা (সিবিআইয়ের) স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা যে যে বিষয়গুলির উত্থাপন করেছিলাম, সেটার জবাব দিয়েছে সিবিআই। চালান দেওয়া হয়েছিল কিনা, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া কীরকম ছিল, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কিনা - (সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সিবিআই)।’
'সত্য উদঘাটনের জন্য CBI-কে সময় দিতে হবে'
তবে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে সত্য উদঘাটনের জন্য সিবিআইকে কিছুটা সময় দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। তাঁর কথায়, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য হাতে এখনও সময় আছে। সিবিআইকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে আমাদের। ওরা ঘুমোচ্ছে না। সত্য উদঘাটনের জন্য ওদের সময় দিতে হবে।’
তদন্ত চলছে RG কর মামলার
তারইমধ্যে সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট যে পরামর্শ দিয়েছে, তা গ্রহণ করছেন তিনি। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। দিনকয়েক আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।