আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদা আদালতে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়েছে। অনেকেই মনে করেছিলেন যে সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা শোনানো হবে। তবে তা হয়নি। এই আবহে হাই কোর্টে জল গড়িয়েছে এই মামলার। সিবিআই এবং রাজ্য সরকার পৃথক ভাবে মামলা করে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। এই আবহে আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের আইনজীবী বদল হয়েছে। এই মামলায় সঞ্জয়ের হয়ে এবার লড়তে দেখা যেতে পারে এই রাজ্যের শিবসেনা নেতা হিসেবে পরিচিত যশ জালান। এদিকে শোনা যাচ্ছে শিবসেনার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর ঝা-ও সঞ্জয়ের হয়ে মামলা লড়তে পারেন। (আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী)
আরও পড়ুন: মাথায় হাত পড়বে ইউনুসের? বাংলাদেশকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করল আমেরিকা
যদিও এই বিষয় নিয়ে যশের দাবি, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, বরং আইনজীবী হয়ে এই মামলায় সঞ্জয়ের হয়ে লড়বেন তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, এই নিয়ে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এদিকে যশ জালানের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষের জন্যে এখনও ওকালতনামায় সঞ্জয় সই করতে পারেনি সঞ্জয় রায়। তবে হাই কোর্টে সিবিআই এবং রাজ্যের করা মামলায় দোষীর হয়ে তিনি সওয়াল করার অনুমতি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন যশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্সি জেলে সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে ২ বার দেখা করতে গিয়েছিলেন যশ। তাঁর অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ নাকি সঞ্জয়কে ওকালতনামায় সই করতে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, 'আমার সামনেই সঞ্জয়কে সাদা কাগজে সই করতে বলে। আমি বাধা দিই। সঞ্জয়কেও বলি, আইনজীবীর সঙ্গে কোনও কথা না বলে সাদা কাগজে সই করবেন না। নিজের পক্ষে প্রাইভেট ডিফেন্স কাউন্সেলকে দাঁড় করাতে চান সঞ্জয়। কিন্তু, তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে লিগ্যাল এইডের সাহায্য নেওয়া হয়। জেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে।' (আরও পড়ুন: বন্ধ কোচিং সেন্টারের সামনে প্রতিবাদ অভিভাবকদের, মুখ খুলল FIITJEE)
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়ছে না, তবে এরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের জন্যে সুখবর শোনাল রাজ্য
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত শনিবার আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই আবহে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারায় আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বললেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।