আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিল শ্বাসরোধ করে। এই আবহে নির্যাতিতার নাকে, মুখে, গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এদিকে ময়নাতদন্তে যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে উরু বা কোমর সহ অন্যত্র কোনও আঘাতের উল্লেখ নাকি আরজি করের রায়ের কপিতে ছিল না। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক নাকি সেই সম্পর্কে কোনও বয়ান শুনানির সময় আদালতে দেননি। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করার সময় তিনি কোনও বাধা দেননি? এদিকে ময়নাতদন্তে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের সময় নির্যাতিতা জীবিত ছিলেন। এই আবহে আঘাতের চিহ্নের রকমফের নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আরজি কর আন্দোলনকারীদের অনেকেরই। (আরও পড়ুন: আরজি করের নির্যাতিতার ম-বাবাকে 'ষড়যন্ত্রকারীদের মুখপাত্র' আখ্যা কুণাল ঘোষের)
আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের নয়া আইনজীবী
রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার দেহের নিম্নাঙ্গে পোশাক ছিল না। জিন্স পড়েছিল পাশে। এদিকে ঊর্ধ্বাঙ্গের কুর্তি উপর দিকে ওঠানো ছিল। নির্যতিতার অন্তর্বাস পাশে সরে গিয়েছিল। এদিকে পুলিশের দাবি ছিল, ধর্ষণের সময় নির্যাতিতার ধ্বস্তাধ্বস্তির জেরে ব্লুটুথ ইয়ারফোন ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছিল। ইয়ারফোনের সেই ছেঁড়া অংশ মিলেছিল ম্যট্রেসের তলা থেকে। এই মামলায় যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। তবে প্রশ্ন উঠছে। ধ্বস্তাধ্বস্তি যখন হয়েছিল এবং সঞ্জয়ের দেহে তার চিহ্ন ছিল, তাহলে তরুণী নির্যাতিতার দেহে কেন আঘাত ছিল না? এদিকে সঞ্জয় আদালতে দাবি করেছিল, তার হাতে সেই সব আঘাতের চিহ্ন এসেছিল ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের জেরে। (আরও পড়ুন: গত একমাসে গ্রেফতার ৪০ 'শরিফুল', বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রমরমা মহারাষ্ট্রে)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু ছাত্র খুন: পরীক্ষা দিতে না গিয়ে দাদার মুখাগ্নি ছোট ভাই অনীকের
এদিকে নির্যাতিতার হাঁটুতে এবং গোড়ালিতে আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। তবে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে এটা স্পষ্ট করে জানাননি যে সেই সব আঘাত ধর্ষণের কারণেই হয়েছিল কি না। এদিকে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের সময় তাঁর নখের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে সঞ্জয়ের দেহকোষের চিহ্ন রয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত কোনও সাক্ষ্য আদালতে জমা পড়েনি বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে সঞ্জয়ের নখের নমুনাতে নির্যাতিতার দেহকোষ বা অন্য কোনও বস্তুর উপস্থিতি মেলেনি বলে দাবি করা হয়েছে। অবশ্য সঞ্জয় স্নান করে থাকলে সেই সব পাওয়ার কথাও নয়। এদিকে নির্যাতিতার জিন্স রক্তাক্ত ছিল। এই আবহে অনেকেরই মনে প্রশ্ন, ধর্ষণের আগে নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করা হলে জিন্সে কেন রক্ত থাকবে? নির্যাতিতার থাইয়ে আঁচড় বা বাধা দানের চিহ্ন নেই।