আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার নিরাপত্তার্মী সঞ্জয় রায়। তবে কি এই সঞ্জয়ই আসল দোষী? এই ঘটনায় আর কারও হাত নেই? কীভাবেই বা সঞ্জয় পর্যন্ত পৌঁছল পুলিশের নাগাল? উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন। এদিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের মামলায় এবার যুক্ত হয়েছে ধর্ষণের ধারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল মাঝরাতেই এই ঘটনায় হাসপাতালের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিল। এদিকে একটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছিল সঞ্জয়। (আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় ময়নাতদন্ত কমিটিতে থাকা ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কেস থানায়)
আরও পড়ুন: বন্ধ বাড়ির সামনে পড়ে চিকিৎসকের মৃতদেহ, মা-বাবা তখনও জানেন না মেয়ে কোথায়
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ… মমতার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বুদ্ধদেব: রিপোর্ট
এর আগে এই ঘটনায় তদন্তের জন্যে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছিল। গতরাতেই টালা থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে। এরপর ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে আসতেই মামলায় ধর্ষণের মামলা জুড়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার রাতে সঞ্জয় সেমিনার হলে ছিল। এদিকে এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অপরাধের জায়গা থেকে পুলিশ একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ছেঁড়া অংশ পেয়েছিল। সেই তারটি সঞ্জয়ের ইয়রফোনেরই অংশ বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সঞ্জয় নাকি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা নিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মী। এমনিতে বহিরাগত হলেও তাই হাসপাতালে অবাধ যাতায়ত ছিল তার। এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয়ের ছবি ধরা পড়েছে। (আরও পড়ুন: মুজিবকে মুছেই ফেলল ইউনুস সরকার? বাংলাদেশ সীমান্তে উঠে এল অভাবনীয় দৃশ্য)
আরও পড়ুন: 'জেগে উঠেছে বাংলাদেশের হিন্দু... যে মন্দির ভাঙতে আসবে তাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে'
আরও পড়ুন: 'মা পদত্যাগ করেননি... ফিরবেন বাংলাদেশে', নয়া চাঞ্চল্যকর দাবি হাসিনাপুত্র জয়ের
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুব করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্ত বেরিয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নামকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মিলেছে ছোপ রক্তের দাগ।