আজ আরজি কর কাণ্ডের রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালত। এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা। তিনি দাবি করেন, অভিজিৎ মণ্ডলের থেকে এই মামলায় বড় দোষী কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েল। এদিকে সিবিআইয়ের ওপরে ভরসা আছে কি না জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, 'আদালতের ওপরে আমাদের ভরসা আছে। আমরা আদালতকে স বলেছি।' (আরও পড়ুন: RG Kar LIVE: আদালতে সঞ্জয়ের আইনজীবী, শিয়ালদায় জমায়েতের ডাক ডাক্তারদের)
আরও পড়ুন: 'রামকৃষ্ণ মিশনেও জঙ্গি থাকতে পারে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'পানিহাটিতে তৃণমূলের কোনও লোক আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। অনেককেই কর্মসূত্রেও চিনি, তাঁরাও আসতে চান না।' এরপর নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমাদের পাশে সবাই আছে। তাই এই ক'জন মানুষ আমাদের পাশে থাকল কি থাকল না, তাতে কিছু যায় আসে না।' এদিকে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'আন্দোলন জারি রাখতে হবে, তারপর দেখা যাক কী হয়।' (আরও পড়ুন: প্রথম পে কমিশনের ন্যূনতম বেতন ছিল ৫৫ টাকা! নয়া পে কমিশনে কত বাড়তে পারে DA-বেতন?)
নির্যাতিতার মা আজ বলেন, 'সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাই আজ তাঁরই সাজা ঘোষণা হবে। বিচারক যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। আমাদের আশারও কিছু নেই, নিরাশারও কিছু নেই। আমরা মনে করছি, তদন্ত এগোচ্ছে। সিবিআই তো আর কারও বিরুদ্ধে চার্জশিট আনেনি। আরও চার্জশিট আনবে। আসল অপরাধীরা ধরা পড়বে। তদন্ত হবে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে না। তদন্তও চলবে, বিচারও চলবে।
'আমরা সবকিছুই হারিয়েছি। আর কিছু পাওয়ার নেই। যদি বিচার সঠিক ভাবে হয়, তাহলে আমার মেয়েটার আত্মা শান্তি পাবে।' এরপর সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতার মা বলেন, 'সরকারের সদিচ্ছা আছে কি না, তা নিয়ে কোর্ট বলবে। আমরা আমাদের বক্তব্য আদালতের কাছে রেখেছি। সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্ট, শিয়ালদা কোর্টে রেখেছি। এরপর আদালতই বলবে।' এরপর অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'টালা থানার ওসি (প্রাক্তন ওসি) যতটা না দোষী, তার থেকে বেশি দোষী বিনীত গোয়েল এবং এসিপি... আমরা যখন হাসপাতালে যাই, দেখি প্রচুর লোক সেখানে আছে। সেই জায়গা কীভাবে এত জনবহুল হয়ে গেল, সেটা তাঁদের দেখার দায়িত্ব ছিল। তাঁরা কেন কর্তব্যের গাফিলতিতে গ্রেফতার হলেন না?'
নির্যাতিতার মা আরও বলেন, 'চারজন ডাক্তার যাঁরা আমার মেয়ের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের তো ঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। তাঁদের হেফাজতে না নিলে কি সত্যি কথা বলবে?' এই ঘটনায় এক মহিলা ডাক্তারের নাম উঠে এসেছিল। সেই ডাক্তার নাকি নির্যাতিতার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই ডাক্তারকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমরা প্রথমেই তাঁর (মহিলা ডাক্তারের) নাম নিয়েছিলাম। তিনি তো দুই মাস এখানে ছিলেনও না। নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু কী জেরা করেছে তারাই জানে। আমরা তো প্রথম থেকেই তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছি।' এদিকে নির্যাতিতার মাকে প্রশ্ন করা হয়, সিবিআইয়ের ওপরে ভরসা আছে? তাঁর জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের আদালতের ওপরে ভরসা আছে।'