আরজি কর কাণ্ডে ধরা পড়েছে অপরাধী। তবে এখনও পুলিশ অনেক রহস্যের সমাধান করতে পারেনি। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, হামলার পর যতটা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক, তা নাকি নির্যাতিতা করতে পারেননি। এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ জানাচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় সেই ট্রেনি চিকিৎসকের ওপর হামলা করেছিল সঞ্জয় রায়। এই আবহে ঘটনাক্রমের একটি চিত্র এঁকেছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, আগে চিকিৎসককে খুন করে তারপর সঞ্জয় ধর্ষণ করেছিল তাঁকে। (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ, নোট বাতিলের আতঙ্ক, ভারতের ১ লাখ বাংলাদেশে কত?)
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই অন্ধকার আকাশ, বৃষ্টি কলকাতায়, আজ সারাদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরজি করের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে। তদন্তকারীরা জানান, যখন সঞ্জয় হামলা চালায়, তখন সেই চিকিৎসক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। টানা ডিউটির জেরেই তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত ছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, আক্রমণের সময় ওই মহিলার নিজেকে বাঁচাতে যতটা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক ততটা করতে পারেননি। এই নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর পর সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এদিকে আরও একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ ভাবনায় পড়েছে। হামলার সময় কি একবারও চিৎকার করতে পারেননি সেই নির্যাতিতা? তাহলে কেন সাহায্যের জন্যে এগিয়ে এলেন না। কেউই সেই চিৎকার শুনতে পাননি?
আরও পড়ুন: মাধবীর আদানি যোগ নিয়ে বিস্ফোরক হিন্ডেনবার্গ, মুখ খুললেন সেবি কর্তা
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডের মধ্য় দিয়ে সঞ্জয় রায় যাচ্ছে সেমিনার হলের দিকে। কিন্তু সেখানে যে চিকিৎসক আছেন, সেটা সঞ্জয় কী করে জানল? এই আবহে পুলিশের মনে প্রশ্ন, কেবলমাত্র যৌন লালসা মেটানোর জন্যই কি সঞ্জয় এই ঘটনা ঘটিয়েছিল? আর কেউ কি যুক্ত ছিল এই খুনের ঘটনায়? অনেকদিন ধরেই কি নির্যাতিতাকে লক্ষ্য করছিল সঞ্জয়?
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া দাবি সামনে আসতেই '৩ জুনের শেয়ার বাজার জালিয়াতি' নিয়ে সরব TMC
এদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বেশ বলশালী। আর তাই নির্যাতিতা সেভাবে কোনও প্রতিরোধ করতে পারেননি বলে মনে করছে পুলিশ। তাও আধ ঘণ্টার মধ্যে সেমিনার হলে এই গোটা ঘটনা সঞ্জয় কীভাবে ঘটাল, তা নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্ত বেরিয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মিলেছে রক্তের দাগ।