আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। সুবিচারের দাবিতেই এই আন্দোলন বলে তাঁদের দাবি। স্বাস্থ্যভবনের সামনে চারদিন ধরে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই সেখানে হামলা করা হবে বলে একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এই আবহে সেখানে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের উপর যাতে কোনওরকম হামলা নেমে না আসে তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করার অডিয়ো ক্লিপ কলকাতা পুলিশ যাচাই করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করেনি। আর কলকাতা পুলিশ যাচাই করে মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। এক, সঞ্জীব দাস। দুই, কলতান দাশগুপ্ত। এদের স্পষ্ট যোগ রয়েছে রাজনীতির সঙ্গে। রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তবে ইতিমধ্যেই সেখানে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নেমে না আসে। দোষীদের চিহ্নিত করা যায়। কারণ গত ১৪ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নেমে এসেছিল। এবার ১৪ সেপ্টেম্বর আবার হামলা করার পরিকল্পনা ছিল। তেমনই শোনা গিয়েছে অডিয়ো ক্লিপে। যার জেরেই এই গ্রেফতার।
আরও পড়ুন: এক লক্ষের বেশি গাছ লাগাল কলকাতা পুরসভা, সাড়ে চার বছর ধরে ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ
এই অবস্থান বিক্ষোভে সুবিচার চেয়ে স্লোগান তুলে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য দফতরকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি চলছে জোরকদমে। তার মধ্যেই আজ, শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। এখানে পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পুলিশের ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চারদিন ধরে টানা ধরনায় বসে আছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনাস্থলের পাশেই বসছে ১৪টি সিসি ক্যামেরা। নবদিগন্তের পক্ষ থেকে তা লাগানো হয়েছে। এই বিষয়ে নবদিগন্তের কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘রাজ্য সরকার ফাঁস হওয়া অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাই ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর কেউ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমণ করতে না পারে।’