আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতি চলায় বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পর পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চালু করার আর্জি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ শুক্রবার প্রথমবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্যেই নিজের ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হল বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মৃত তরুণের মা। আর তার পরই এক্স হ্যান্ডেলে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্নগরের বেঙ্গল ফাইন মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন যুবক বিক্রম ভট্টাচার্য। বিবেক নগর দ্বারিক জঙ্গল বাই লেনে মা ও দিদিমার সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন বিক্রম। শুক্রবার তাঁর দুই পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। প্রথমে শ্রীরামপুর হাসপাতালে এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসা না করে রেফার করার অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই পথে মারা যান যুবক বিক্রম। সন্তানহারা মায়ের আক্ষেপ, ‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে ছেলেটা বেঁচে যেত। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দোষীদের কঠোরতম সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মতো গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। যদি থাকত তাহলে বিনা চিকিৎসায় ছেলেটাকে মরতে হতো না। এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক! ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে কোটি টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার পুলিশেরই টিম
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যদি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তা গঠনমূলকভাবে করা উচিত। সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে করা উচিত। যাতে নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার মাধ্যমে আর কোনও জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। কিন্তু তা বলে আন্দোলনের ফলে চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যুও তো অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।’