আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে যিনি মামলা লড়ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে সেই বিশিষ্ট আইনজীবী সরে দাঁড়িয়েছেন। এই বড় খবরটি নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে তুমুল চর্চা চলছে। আর তখনই ধর্ষণ করে খুন করা তরুণী চিকিৎসকের ঘটনাকে সামনে রেখে নতুন করে জমায়েতের ডাক দেওয়া হল। গত ১৪ অগস্ট দেখা গিয়েছিল রাত দখলের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে কেঁপে উঠেছিল ১৪ অগস্টের মাঝরাত। সেই রাত দখলের এবার চার মাস পূর্তি হচ্ছে। তাই আবার ডাক দেওয়া হয়েছে এক জমায়েতের। আগামী শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বরের রাণুচ্ছায়া মঞ্চে ‘স্পর্ধার চিৎকার’ নামে সেই জমায়েত চলবে বলে খবর।
এই জমায়েত করতে গেলে হাতে বেশি সময় নেই। আজ ১২ ডিসেম্বর। সুতরাং হাতে আছে আর দু’দিন। এই দু’দিনে সবটা প্রস্তুত করা যাবে কিনা সেটা সময় বলবে। তবে ১৪ অগস্টের মাঝরাতে যে লাখো মানুষ দখল নিয়েছিলেন রাজপথের সেটা এবার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া কথা বাস্তবায়িত হয়েছে। কলকাতা পুলিশ যে সঠিক তদন্ত করেছিল সিবিআইয়ের চার্জশিটে তা প্রমাণিত হয়েছে। এখন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাও তিন মাস পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে কাজ শুরু হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের, সেচমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই চার মাস রাত দখল পূর্তির জমায়েতের আয়োজকদের মধ্যে রয়েছেন লেখিকা ও নারী আন্দোলনের কর্মী শতাব্দী দাস। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা যেহেতু কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টিকে সামনে এনেছিল, তাই শনিবার ডাকা হয়েছে নানা পেশার নারীদের। শিক্ষিকা, কর্পোরেট কর্মী থেকে পরিচারিকা, আশাকর্মী এবং যৌনকর্মীরা হাজির থাকবেন। তাঁরা তুলে ধরবেন তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। এখানে আসবেন রূপান্তরকামী–সহ যৌন সংখ্যালঘু মানুষরাও।’ তবে সাধারণ মানুষ কতটা ভিড় জমাবেন সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ ইতিমধ্যেই রটে গিয়েছে এই আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল রাজনীতি।
এবার এই জমায়েত মাঝরাতে হবে না। দুপুর বেলা থেকে তা গড়াবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। চার মাস আগে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই পথে নেমেছিলেন। তাঁরা যে আবার নামবেন এমন নিশ্চয়তা মেলেনি। কারণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা আর রাজনীতি আছে এমন কিছুতে সামিল হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই এবারের জমায়েত কতটা ব্যাপ্তি লাভ করবে সেটা সময়ই বলবে। শনিবারের জমায়েত নিয়ে নানা কথা ভাবা হচ্ছে এটা ঠিক। এই জমায়েতে যদি শিশু–কিশোররা আসে তাহলে তাদের জন্য ‘গুড টাচ, ব্যাড টাচ’, ‘কনসেন্ট’ এগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সঙ্গে থাকবে গান–আবৃত্তির আয়োজন।