আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগে এখন প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব রাজনৈতিক দলই পথে নেমেছে। ফাঁসির দাবি, বিচার চাই এবং উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান শোনা যাচ্ছে সকলের মুখে। এবার এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার শাহের সঙ্গে দেখা করে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের ঘটনা এবং রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি তুলে ধরেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতেই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও আরও অনেকে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে গোটা রাজ্যে এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ–প্রতিবাদ আছড়ে পড়ে। গর্জে ওঠে চিকিৎসক মহল। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল নামে। এমনকী ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযান করে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ কলকাতা পুলিশের। তখন জলকামান, কাঁদানে গ্যাস দিয়ে মিছিল প্রতিরোধ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘রাতের খাবারে এগ চাউমিন চাই’, আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার সঞ্জয়ের দাবি জেলে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে নামেন রাজ্যপাল। তারপর ছিলেন বঙ্গভবনে। আজ, শুক্রবার সকালে সেখান থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে। বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে দেখা করার পরেই নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যা রাজ্য–রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এই ঘটনা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এবার রাজ্য সম্পর্কে রিপোর্ট দিতেই রাজ্যপাল এই সাক্ষাৎ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপর রাষ্ট্রপতি সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে সাক্ষাৎকারে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তবে এবার দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এই ঘটনার তদন্ত এখন করছে সিবিআই। প্রায় ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। নতুন কোনও গ্রেফতার নেই। তার মধ্যে রাজ্যপাল–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।